ঝালকাঠিতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফজলুল করিমকে তুলে নিয়ে মারধর করে দুই লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফজলুল করিম নলছিটি উপজেলার সেওতা গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।

তবে ঝালকাঠি গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, টাকা ছিনতাইয়ের এই চক্রকে আইনের আওতায় আনতে তারা কাজ করছে।

ফজলুল করিম জানান, পিটিআই প্রশিক্ষণ ভাতার ৩৬ হাজার টাকা এবং নিজের জমানো দুই লাখ টাকা উত্তোলন করে বুধবার (২৯ জুন) ঝালকাঠি থেকে নলছিটি উপজেলার গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। দুপুর ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ঝালকাঠি শহরের শিল্পকলা একাডেমির সামনে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার অটোরিকশা আটকে দেয়। এ সময় ডিবি পুলিশের পোশাক পরিহিত অস্ত্রধারী তিন যুবক ওই শিক্ষককে জোর করে প্রাইভেটকারে তুলে নেন। 

তিনি চিৎকার করলে চোখ-মুখ বেঁধে দুই হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেয়। তারা বলে তোর নামে হত্যা মামলা আছে, তোর অভিভাবকে ফোন করে দ্রুত ১০ লাখ টাকা দিতে বল। একথা বলে তাকে মারধর করা হয়। পরে স্কুল শিক্ষক ফজলুল করিমের কাছে থাকা ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে বরিশালের বারইজ্জার হাট নামক এলাকায় ফেলে তারা চলে যায়।

তিনি বলেন, ঘটনার পর আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছি। ঝালকাঠি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

ঝালকাঠি গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মো. মাইনুদ্দিন জানিয়েছেন, তারাও শুনেছেন এমন ঘটনা। তবে তাদের কোনো টিম এসব কাজের সঙ্গে জড়িত না। যারা করেছে তারা একটি অপরাধীচক্র। এই চক্রকে শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, ওই শিক্ষকের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হবে। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই