কুষ্টিয়ার মিরপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে ভাগ্নের হাতুড়ির আঘাতে মামা আয়ূব আলী (৫৫) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (০১ জুলাই) বিকেলে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের চৌদুয়ার বিলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামা মারা যায়। আয়ূব আলী একই এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।  

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে শুক্রবার বিকেলে আয়ূব আলী উপজেলার আমলা ইউনিয়নের নিমতলা বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে ফিরছিলেন। এমন সময় আমলা ইউনিয়নের চৌদুয়ার বিলপাড়া এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার পাশে ঝোঁপ থেকে হাতুড়ি নিয়ে বেরিয়ে আসে ভাগ্নে সাজু। এরপর সাজু মোটরসাইকেলে লাথি দিয়ে ফেলে দেয়। পরে মামা আয়ূব আলী রাস্তার ধারে পড়ে গেলে হাতুড়ি দিয়ে মুখ ও মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে সাজু পালিয়ে যায়। 

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা আয়ূব আলীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায়  শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সাজু পলাতক রয়েছেন। সে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের চৌদুয়ার বিলপাড়া এলাকার রাজ্জাক আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একটি হত্যা মামলা রয়েছে। হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় দীর্ঘ দিন ধরে ভারতে পলাতক ছিল সাজু।

নিহতের ভাতিজা হুমায়ূন কবিরের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, চাচার চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য দৌড়াদৌড়ি করায় থানায় অভিযোগ দিতে পারিনি। তবে থানায় মৌখিকভাবে জানিয়েছি। এখন থানায় হত্যা মামলা করা হবে।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, এখনও থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রাজু আহমেদ/এসপি