নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের দলিল লেখক ইকবাল হোসেন স্বাধীন। তিনি দলিল লেখার পাশাপাশি গরু লালন-পালন করেন। তার বাড়িতে ২০১৯ সালে জন্ম হয় যুবরাজের। রঙ আর দৈহিক গড়নে অভিনবত্ব থাকায় নাম রাখা হয় যুবরাজ। 

জানা গেছে, যুবরাজের বয়স তিন বছর। আমেরিকান ফ্রিজিয়ান জাতের যুবরাজকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে। তার খাবারের তালিকায় রয়েছে- গম, ভুসি, ভুট্টা, সবুজ ঘাস, লতাপাতা আর দেশীয় ফলমূল। 

যুবরাজের ওজন ১ হাজার ৪৭৩ কেজি (প্রায় ৩৭ মণ)। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতা ও ১০ ফুট ৫ ইঞ্চি প্রস্থের ষাঁড়টিকে জেলার সব চেয়ে বড় গরু মনে করা হচ্ছে। গরুর মালিক ইকবাল হোসেন যুবরাজের দাম হাঁকছেন ১০ লাখ টাকা। তবে ন্যায্য মূল্য পেলেই বিক্রি করে দেবেন তিনি। 

ইকবাল হোসেন বলেন, তিন বছর আগে খামারে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গাভি থেকে বাছুর হয়। এরপর পরম মমতায় বাছুরটি বড় করতে থাকি। গত ঈদে এটি বিক্রির উপযোগী হয়। কিন্তু পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের নিষেধে ষাঁড়টি তখন বিক্রি করা হয়নি। এরপর আরও এক বছর এটি লালন-পালন করি। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের নজর এখন যুবরাজের দিকে।

বিশাল দেহের ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মানুষ। ১০ লাখ টাকা বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, যুবরাজকে বাড়িতেই বিক্রি করতে চাই। তবে বাড়িতে ন্যায্য মূল্য না পেলে বিভিন্ন হাটে তুলব।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ঈদকে ঘিরে জেলায় এ বছর ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার খামারে ৬৫ হাজার কোরবানির পশু লালন-পালন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে জেলার কয়েকটি খামারে বিশাল আকৃতির গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। এর মধ্যে খামারি ইকবাল হোসেন স্বাধীনের যুবরাজ জেলার সবচেয়ে বড় গরু। গরুটি লালন-পালনে সার্বক্ষণিক তদারকির পাশাপাশি বিক্রিতেও সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

এসপি