কুমিল্লায় ৪২৫ থেকে ৪৮০ টাকা দরে ওজন স্কেলে গরু বিক্রি করছে হানিফ অ্যাগ্রো ফার্ম নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ক্রেতাদের সন্তুষ্ট রাখতে গরু মেপে বিক্রির করার এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন খামারি মো. হানিফ মিয়া। এ ছাড়া জেলার ভেতরে ফ্রি ডেলিভারি দেন তিনি।

জেলার বরুড়া উপজেলার বড় হাতুয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় হানিফ অ্যাগ্রো ফার্ম। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ইতোমধ্যে ক্রেতারা সেখানে ভিড় শুরু করেছেন। খামারে ২০০-এর বেশি বড়, মাঝারি ও ছোট আকারের ষাঁড় গরু রয়েছে।

হানিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন সৌদি আরবে প্রবাসজীবন পার করছি। প্রবাসে বসেই এমন একটি খামার তৈরির কথা ভাবছিলাম। পরে দেশে এসে নিজের উপার্জিত অর্থ ও ব্যাংকঋণ নিয়ে ২৪ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করি হানিফ অ্যাগ্রো ফার্ম। ঈদ উপলক্ষে ছুটিতে দেশে এসেছি। গরুগুলো বিক্রি করে আবার নতুন করে খামারটি সাজাব।

১০০ গরু দিয়ে শুরু করলেও এখন খামারে ২০০-এর বেশি ষাঁড় গরু ও মাঝারি আকারের গরু রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গরুগুলো লালনপালন করার জন্য খামারে নিয়োজিত আছেন আটজন শ্রমিক। সর্বনিম্ন ২৫০ কেজি থেকে শুরু করে ৬০০ কেজি ওজনের গরু খামারে রয়েছে বলে জানান হানিফ।

তবে আকারভেদে দরের ব্যবধান আছে বলেও জানান হানিফ। তিনি বলেন, ছোট গরু লাইভ ওয়েটে ৪২৫ টাকা কেজি, মাঝারি গরু ৩০০ থেকে ৪০০ বা ৪৫০ এবং বড় গরু ৪৮০ টাকা কেজি দরে ডিজিটাল স্কেলে মেপে বিক্রি করছি। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির গরু কিনতে খামারে আসছেন ক্রেতারা।

কুমিল্লা জেলার ভেতরে ফ্রি পরিবহনসুবিধায় হোম ডেলিভারি দেওয়ার সুবিধা রেখেছেন হানিফ। ফলে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা ঝামেলা এড়াতে চলে আসছেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু গরু বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মো. হানিফ মিয়া। ঈদের আগেই সব গরু বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

উপজেলার হরিপুর গ্রাম থেকে গরু কিনতে আসা মো. সাইদুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, খুব ভালো লাগছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন একটি গরুর খামার দেখতে পেরে। শুনেছি এখানে ওজন মেপে গরু বিক্রি করা হয়, তাই চলে এসেছি। পছন্দ হলে ওজন মেপে কিনে নিয়ে যাব। ওজন মেপে গরু বিক্রির সুবিধা হলো তাতে আমরা যারা গরু সম্পর্কে ধারণা কম রাখি, তারা সঠিকভাবে গরু কিনতে পারব। তাতে ঠকার সম্ভাবনা কম থাকে। আবার হোম ডেলিভারি ফ্রি দেওয়ার সুবিধাও দেওয়া হয়।

বরুড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাসরিন সুলতানা তনু ঢাকা পোস্টকে বলেন, হানিফ মিয়ার খামারের পেছনে আমাদের সহযোগিতা রয়েছে। তার গরুর ভ্যাকসিন আমরা দিই, তিনি বাইরে থেকে কেনেন না। এ ছাড়া কৃমির ওষুধসহ প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ পরামর্শ দিচ্ছি। সব সময় তার জন্য সহায়তা থাকবে।

এনএ