বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেছেন, আসন্ন কোরবানির ঈদের আগে সীমান্ত পেরিয়ে কোনো গবাদিপশু দেশে ঢুকবে না। ঈদের পর কোরবানির পশুর চামড়াও পাচার হবে না।

সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে বিজিবির রাজশাহী ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। পরে রাজশাহী ১ বিজিবির ২২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিজিবি প্রধান।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ঈদের আগে গবাদিপশুর চোরাচালান বেড়ে যায়। এবার চেষ্টা করছি, যাতে করে ভারত কিংবা অন্য কোনো সীমান্ত দিয়ে গবাদিপশু বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে। কারণ, আমাদের দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানির পশুর চাহিদা মিটবে। এজন্য প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়ন, সেক্টর এবং বিওপিকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঈদের আগে গবাদি পশু চোরাচালান ও পরে চামড়া পাচার রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এই বিষয়ে প্রত্যেকটা সেক্টরে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যে এলাকাগুলোতে চামড়া পাচারের প্রবণতা বেশি, সেই এলাকায় কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে। এবার চামড়ার চোরাচালান রোধে শতভাগ সফল হবো।

মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, আমাদের কর্মপরিধি অনেক বেড়েছে। বিওপি ও ব্যাটালিয়নের সংখ্যাও বেড়েছে। এখন চেষ্টা করছি, এক বিওপি থেকে আরেক বিওপির দূরত্ব কমানোর জন্য। মোটকথা সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান কিংবা অবৈধ পাচার রোধে বিজিবি সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।

এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে প্রীতিভোজ ও কেক কাটার আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির রংপুর রিজিয়ন সদর দপ্তরের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নওরোজ, রাজশাহী ১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, পরিচালক লে. কর্নেল সাব্বির আহমেদ, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. মজিদ আলী প্রমুখ।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর