নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেয় ‘কালু’, দাঁতও দেখায়
পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের ঠেকরপাড়া গ্রামের খামারি মোকাম্মেল প্রধান। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তার খামারে লালন-পালন করা হচ্ছে ২৭ মণ ওজনের একটি গরু। দেখতে কালো হওয়ায় খামারি ভালোবেসে নাম রেখেছেন ‘কালু’। তার নাম ধরে ডাকলে সাড়াও দেয়। এমনকি কেউ তার দাঁত দেখতে চাইলে মাথা উঁচিয়ে দাঁত দেখায়।
খামারে গিয়ে দেখা যায়, কালুর পরিচর্যায় ব্যস্ত মোকাম্মেল প্রধান ও তার ছোট ভাই মনির প্রধান। তাদের খামারে আরও ৪০টি গরু রয়েছে। তার মধ্যে কালু সেরা। কালুর সঙ্গে তাদের সখ্যতাও বেশ। তাদের কথা মতো সাড়া দেয় সে, দেখতে চাইলে দাঁতও বের করে দেখায়।
বিজ্ঞাপন
খামারি মোকাম্মেল প্রধান বলেন, ৮ মাস আগে আড়াই লাখ টাকা দিয়ে কালুকে কিনে আনেন। উদ্দেশ্য মোটাতাজা করে কোরবানির ঈদে বিক্রি করবেন। কিন্তু ঈদ ঘনিয়ে এলেও কেউ এখনো কাঙ্ক্ষিত দাম বলেননি। ৬ লাখ টাকা হলেই কালুকে বিক্রি করব।
বিজ্ঞাপন
গরুর দেখভাল করেন মনির প্রধান। তিনি বলেন, কালু এখন আমাদের পরিবারের অংশ হয়ে গেছে। তার বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে প্রতিদিন লোকজন দেখতে আসে। তাকে বিক্রি করলে একটু খারাপও লাগবে আমাদের। তারপরও চাচ্ছি ভালো দামে বিক্রি করতে। কারণ তার পেছনে দৈনিক ৫০০-৮০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
খামারি মোকাম্মেল প্রধান বলেন, শখের খামার এখন বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। খামারের সবচেয়ে বড় গরু কালু। কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্যই তাকে মোটাতাজা করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা যে দাম বলছে, সে দামে বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর খামার থেকেই বাইরের ব্যবসায়ীরা এসে গরু কেনেন। এজন্য কালুকে হাটে তুলিনি। এবার খামারে বাইরের ব্যবসায়ীরা আসছে না। আর স্থানীয়রা আসলেও সঠিক দাম বলছে না।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, পঞ্চগড় জেলায় এ বছর কোরবানি পশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৯ হাজার ৮৭৯টি। এর বিপরীতে কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তত রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৭২টি। এর মধ্যে গরু-মহিষ ৪১ হাজার ২৮০টি এবং ছাগল-ভেড়া ৯৩ হাজার ৯৯২ টি।
এসপি