সাভারের আশুলিয়ায় অপরিচিত যুবককে বাঁচাতে গিয়ে দুর্বৃত্তের হামলায় লিখন (১৮) নামে ফার্নিচার দোকানের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে গতকাল রাতে আশুলিয়ার পলাশবাড়ির গোছরারটেক এলাকার ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় তার ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা।

নিহত লিখন সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার ভয়নগর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থেকে ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন।

দুপুরে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ইনচার্জ ইউসুফ আলী। তিনি বলেন, রাত ১০টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ দুপুরে তিনি মারা যান।

পুলিশ জানায়, গতকাল পলাশবাড়ীর গোছরারটেক ইস্টার্ন হাউজিং মাঠে মেহেদী নামে এক যুবককে কয়েকজন মারধর করছিল। ওই মাঠে বসে মোবাইল চাপাচাপি করছিলেন নিহত লিখন। মেহেদীকে মারধর করা দেখে দৌড়ে এসে বাচাঁনোর চেষ্টা করেন লিখন। এ সময় দুর্বৃত্তরা লিখনকেও উপর্যুপরি কিল ঘুষি মারেন। মার খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে লিখন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে আজ মারা যান তিনি।

নিহতের স্বজন শহিদ আলী বলেন, লিখন আমার শ্যালকের ছেলে। সে পলাশবাড়ীর একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ শিখত। গতকাল রাতে পলাশবাড়ি এলাকায় কে বা কারা তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় লিখন গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে আশুলিয়ার সমাজভিত্তিক মেডিকেল গণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে মারা যায় লিখন। 

আমি খবর পেয়ে আজ গ্রাম থেকে এসেছি। এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না। তবে কে বা কারা তাকে মারল এসব তথ্য এখনো পাইনি। আমার জানা মতে তার কোনো শত্রু ছিল না।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজ উদ্দিন বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরের কোথাও মারধরের কোনো চিহ্ন নেই। তবে ইন্টারনাল ইনজুরি থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

মাহিদুল মাহিদ/আরআই