গত বছরের দুর্নামের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিম্নমানের পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত ভিজিএফের চাল সরবরাহ করার অভিযােগ উঠেছে।

জানা গেছে, সােমবার (০৪ জুলাই) উলিপুর পৌরসভার বরাদ্দকৃত প্রতিজনের ১০ কেজি করে ৩ হাজার ৮১ জন দুস্থ ও দরিদ্র পরিবারের জন্য ৩০.৮১০ মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করা হয়। চালগুলো নষ্ট হওয়ার বিষয়টি উলিপুর পৌর মেয়র মামুন সরকারের নজরে আসে। পরে তিনি চালগুলাে আটক দেন। এসব নিম্নমানের চাল সরবরাহের ঘটনা ফাঁস হলে সাধারণ মানুষর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। 

আরও জানা গেছে, উলিপুর উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাসহ ৮৬ হাজার ৩১৫ জন দুস্থ ও হতদরিদ্র পরিবারের জন্য ৮৬৩.১৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। 

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা, শ্রমিক এবং মিলমালিকরা জানান, সরকারিভাবে ক্রয় করা ধান স্থানীয় মিলারদের মাধ্যমে ছাঁটাই করে চাল সংগ্রহ করার নিয়ম থাকলেও উলিপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান সেটা করেননি। তিনি একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কাগজ-কলমে তা দেখিয়ে বাইরে থেকে সরকারি মূল্যের চেয়ে কম দামে চাল সংগ্রহ করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এর আগেও তিনি এমন অনিয়ম করলেও মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে পার পেয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।

উলিপুর পৌরসভার মেয়র মামুন সরকার বলেন, ভিজিএফের চাল নিম্নমানের হওয়ায় ৩০.৮১০ মেট্রিক টন চাল আটকে দিয়েছি। বরাদ্দকৃত চাল মোটামুটি সব বস্তার অবস্থা একই। এই বিষয়ে আমি অভিযোগও করেছি।

উলিপুর খাদ্য গুদাম কর্তকর্তা শাহিনুর রহমান বলেন, দু-একটি বস্তার চাল সমস্যা হতে পারে। তবে এসব নষ্ট চাল আমি পরিবর্তন করে দেব। ছাঁটাই করা চালের মধ্য পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল কিভাবে আসল এমন প্রশ্নে তিনি কােনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু বকর বলেন, বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেনেছি। ঘটনাস্থলে আমাদের টেকনিক্যাল টিম পাঠানাে হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জুয়েল রানা/এসপি