জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) মেয়র পদে তিনজন প্রার্থীর দুইজন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একক প্রার্থী হিসেবে বিকেল ৫টার পর সিরাজুল ইসলাম মেয়র পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং ও নওগাঁ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হাসান বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টায় ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে একজন আওয়ামী লীগ দলীয় ও ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের সিরাজুল ইসলাম, স্বতন্ত্র নবীউল ইসলাম চৌধুরী, আব্দুল হান্নান মিঠু ও সিরাজুল ইসলাম বুলু। 

গত ৩০ জুন যাচাই-বাছাইয়ের দিনে আব্দুল হান্নানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী নবীউল ইসলাম চৌধুরী ও সিরাজুল ইসলাম বুলু রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নবীউল ইসলাম চৌধুরী বিএনপির সমর্থক আর সিরাজুল ইসলাম বুলু আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ছিলেন। জানতে চাইলে নবীউল ইসলাম চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সদস্য। আমি ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলাম। এতে বিএনপি সমর্থন করেনি। বিএনপি সমর্থন না করায় আমি দলের প্রতি সম্মান জানিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছি।

সিরাজুল ইসলাম বুলু বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছি।

রিটার্নিং ও নওগাঁ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তিনজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে দুই জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। নিয়ম অনুসারে বিকেল ৫টার পর আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

এই পৌরসভায় আগামী ২৭ জুলাই সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে।

চম্পক কুমার/আরআই