আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা বন্যা মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তারা এখনো প্রতিদিনই বানভাসিদের পাশে ছুটে যাচ্ছেন। বন্যার্তদের খাবার খাইয়ে দিচ্ছেন, নগদ অর্থ বিতরণ করছেন। আমরা লুটপাটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। কোটি কোটি টাকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হলেও কোথাও কেউ কোনো ধরনের লুটপাটের অভিযোগ তুলতে পারেনি। কারণ আওয়ামী লীগ লুটপাটের রাজনীতি করে না।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেলে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বড় ধিরারাই গ্রামে যুক্তরাজ্য কমিউনিটি নেতা আনোয়ার আলীর অর্থায়নে বানভাসিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নানক আরও বলেন, যেকোনো দুর্যোগে আওয়ামী লীগই দেশের মানুষের সবচেয়ে বেশি আশা-ভরসার স্থান। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে বন্যার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী সিলেট ও সুনামগঞ্জে ছুটে এসেছিলেন। তিনি বন্যার্তদের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য এখন প্রতিটি পরিবারের হাতে ১০ হাজার টাকা করে তুলে দেওয়া হচ্ছে। একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল বলে এতকিছু সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা সমালোচনার কোনো সুযোগ না পেয়ে প্রতিদিনই আবোল-তাবোল বকে যাচ্ছে। এত ত্রাণ বিতরণের পরও সরকার বা আওয়ামী লীগের তৎপরতা তাদের চোখে পড়ছে না। জনগণের জন্য ভালোবাসা নেই বলেই আমাদের তৎপরতা তারা দেখছে না। তারা অবৈধ উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে উন্মত্ত হয়ে আছে। তবে তাদের সেই দিবাস্বপ্ন কেবল স্বপ্ন হয়েই থাকবে। মানুষ এই দুর্নীতিবাজদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

সিলেটবাসীকে আশ্বস্ত করে নানক বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা আপনাদের পাশে আছেন। পাশে আছেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ইনশাআল্লাহ সবার সম্মিলিত চেষ্টায় আমরা এ পরিস্থিতি থেকে অবশ্যই মুক্ত হবো। 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোবাশ্বীর আলী, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজমল আলী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কবির উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, উপ-দপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, সদস্য আব্দাল মিয়া, গোলাব মিয়া, গোলাপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্চুর কাদির চৌধুরী এলি, পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আহমদ, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুসফিক জায়গীরদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মাসুদ আহমদ রনি/আরএআর