সেলিম ও রেহেনা দম্পতি সাইনবোর্ড এলাকার একটি সোয়েটার কারখানায় চাকরি করতেন। ঈদ উপলক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাড়ি যাবেন। সে জন্য সিএনজি অটোরিকশায় করে কিশোরগঞ্জের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন মেয়ে সাদিয়াকে নিয়ে। কিন্তু কে জানত এ যাত্রাই হবে তাদের শেষ যাত্রা?

পথে তাদের সিএনজি অটোরিকশাকে ঢাকাগামী একটি বাস চাপা দিলে সড়কে নিভে যায় সেলিম ও তার মেয়ের প্রাণ। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন স্ত্রী রেহেনা।

নিহত সেলিম মিয়ার (৪৫) বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর গ্রামে। তার বাবার নাম মতি মিয়া। চাকরি সূত্রে তিনি স্ত্রী রেহেনা (২৮) ও মেয়ে সাদিয়াকে (১১) নিয়ে গাজীপুরে ভাড়া থাকতেন।

এর আগে শনিবার (৯ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে জেলার কাপাসিয়া উপজেলার রাজেন্দ্রপুর-টোক সড়কের কাপাসিয়া থানাধীন চেওরাইট এলাকায় ইলুর মোড়ে ঘটে মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনা।

এ সময় সেলিম মিয়ার মেয়ে সাদিয়া ও নূরজাহান নামের এক পোশাকশ্রমিক ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন সেলিম মিয়া, তার স্ত্রী রেহেনা ও নূরজাহানের স্বামী রুবেল মিয়া। গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেলিম মিয়া মারা যান। রুবেল মিয়া ও রেহেনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রুবেল মিয়ার বাড়ি গাজীপুর মহানগরগাছা থানার সাইনবোর্ড এলাকায়। তার স্ত্রী নূরজাহান (৩২) মেট্রিক সোয়েটার কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় নূরজাহান ও সাদিয়াকে মৃত অবস্থায় এবং রুবেল, রেহেনা ও সেলিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিম মারা যান। চিকিৎসাধীন থাকা রেহেনার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, কাপাসিয়া থানাধীন চেওরাইট এলাকায় ইলুর মোড়ে কিশোরগঞ্জগামী একটি সিএনজি অটোরিকশাকে ঢাকাগামী অজ্ঞাত একটি বাস চাপা দেয়। এতে সিএনজিতে থাকা চার-পাঁচজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিচ্ছে।

শিহাব খান/এনএ