ঈদের আগের দিনে বিকেলে শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায় সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে প্রায় ২৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শেষ মুহূর্তেই এই যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রিয়জনদের কাছে ফেরা মানুষ।

তবে যানজটের মূল কারণ হিসেবে এলোমেলো গাড়ি চালানোকে দায়ী করছেন হাইওয়ে থানা পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে নিশ্চিত করেছেন হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান ও সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক। যানজট আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

সরেজমিনে মহাসড়কে দেখা যায়, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের ভূইয়াগাতী থেকে এই যানজট শুরু হয়ে হাটিকুমরুল গোল চত্বর ও নলকা সেতু হয়ে সীমান্ত বাজার এলাকা পর্যন্ত এসে ছড়িয়ে গেছে। সীমান্ত বাজার এলাকা থেকে হাটিকুমরুল গোল চত্বর এলাকা হয়ে ভূইয়াগাতী পর্যন্ত প্রায় ২৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট ও থেমে থেমে যান চলাচল করছে। এই যানজট ধীরে ধীরে হাটিকুমরুল-পাবনা ও হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কেও ছড়িয়ে পড়ছে।

শনিবার (৯ জুলাই) দুপুর থেকে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে এই এলাকার কোথাও কোথাও থেমে থেমে যান চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের কড্ডার মোড় এলাকা পর্যন্ত যানজট ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শেষ মুহূর্তে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ আরও অনেক বেড়ে গেছে। এর মাঝে অনেক গাড়িই এলোমেলোভাবে লেন ভঙ্গ করে আরেক লেনে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

হাটিকুমরুল-বগুড়া মহাসড়কের ভূইয়াগাঁতী এলাকা থেকে যানজট সৃষ্টি হয়ে হাটিকুমরুল গোল চত্বর এলাকা হয়ে নলকা সেতু এলাকা পার হয়ে এই যানজট ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এর মাঝেই থেমে থেমে যান চলাচল করছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।

সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক বলেন, বিকেলের মহাসড়কে হঠাৎ করেই যানবাহনের চাপ প্রচুর বেড়ে গেছে। তারপরও বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে যানজট ছিল না। কিন্তু যেহেতু ভূইয়াগাতী এলাকা থেকে যানজট সৃষ্টি হয়ে সীমান্ত বাজার পর্যন্ত চলে এসেছে, তাই যানজট এদিকে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আমরা মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

শুভ কুমার ঘোষ/এনএ