ঈদুল আজহার পরেরদিন সোমবার সকালে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা পড়ে রয়েছে। মহাসড়কে কিছু যানবাহন চলাচল করলেও তা তুলনায় খুবই কম। মহাসড়কে ঈদের আগেরদিন রাত পর্যন্ত ছিল নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের প্রচণ্ড চাপ ও কোলাহল। তবে ঈদের পরেরদিন সকাল পর্যন্ত তেমন কেওই কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেননি। তবে বিকেল থেকে রাস্তায় ঢাকামুখী যানবাহন কিছুটা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার (১১ জুলাই) সকালে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক ও হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান।

সোমবার সকালে মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী কিছু যানবাহন চলাচল করলেও তা পরিমাণে খুবই কম। এর বাইরে ঢাকা-উত্তরবঙ্গগামী খুবই কম গাড়ি যাতায়াত করতে দেখা গেছে। মহাসড়কে মাঝে মাঝে কিছু ট্রাক ও বাস ছাড়া তেমন কোনো যান চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না। যেগুলো চলাচল করছে সেটাও পরিমাণে খুবই কম। ফলে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কসহ জেলার প্রধান ৩৫ কিলোমিটার মহাসড়কের সব রুট অনেকটাই ফাঁকা। 

সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক সকাল ১০টার দিকে ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোববার ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে পরেরদিন সকাল পর্যন্ত এখনো মহাসড়কে তেমন গাড়ি গড়ায়নি। এর আগে ঈদের আগেরদিন গভীর রাত পর্যন্ত যানবাহনের অনেক বেশি চাপ ও যানজট ছিল। পরবর্তীতে ঈদের পরেরদিন সকালে এখন পর্যন্ত মহাসড়ক একদম ফাঁকাই রয়েছে বলা যায়। বিকেল থেকে মহাসড়কে যাতায়াত একটু বাড়লেও মূলত আগামীকাল থেকে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়বে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় অন্যান্য সময়ের চেয়ে যান চলাচল কমে গিয়ে অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। মানুষের ঈদ পরবর্তী যাত্রা এখনো শুরু হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, বিকেল থেকে হয়তো কিছু যানবাহন চলাচল করবে। তবে আগামীকাল থেকে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বাড়বে।

ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলে ফেরার যাত্রায় আপনারা কতটুকু প্রস্তুত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সব কর্মজীবী মানুষের কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাব। মহাসড়কের হাইওয়ে থানার অন্তর্ভুক্ত এলাকায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেড় শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা আছে। 

পাশাপাশি মোবাইল টিম ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আশা করছি ঈদ পরবর্তী যাত্রাতে মহাসড়কে কোনো ভোগান্তি থাকবে না।

শুভ কুমার ঘোষ/আরআই