ঠাকুরগাঁওয়ে আশঙ্কাজনকহা‌রে বাড়‌ছে বি‌য়ে‌বি‌চ্ছেদের ঘটনা। গত এক বছরে ঠাকুরগাঁও সদরে বিয়ে হয়েছে ২ হাজার ৪৪২টি। এর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে ৪৭৭টি। যার শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ বিচ্ছেদ হয়েছে নারীর পক্ষ থেকে। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

• পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ না থাকা
• মাদকদ্রব্যের ব্যবহার
• যৌতুক দাবি ও সহনশীলতার অভাব

জেলার সুশীলসমাজ মনে করেন, স্বামী-স্ত্রী পরস্পর যদি একে অপরের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকেন, অথবা বিনয়ী মানসিকতা থাকেন, তাহলেই বিয়েবিচ্ছেদের হার কমে যাবে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বাল্যবিয়ে, স্ত্রী-স্বামী উভয়ের উদাসীনতা, জোর করে বিয়ে, স্বামীর মাদকাসক্তি, শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতন, আর্থিক সমস্যা, স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ ও স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের কারণেই বাড়ছে বিয়েবিচ্ছেদ। এ যুগে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমকে দাম্পত্যজীবনে নানা ধরনের অশান্তি, পরকীয়া ও একটা সময় বিচ্ছেদের মতো সিদ্ধান্তকে অন্যতম কারণ মনে করেন অনেকে। শুধু ঠাকুরগাঁও সদরেই নয়, জেলার প্রতিটি উপজেলায় নানা কারণে বাড়ছে বিয়েবিচ্ছেদের হার।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর থানায় গত এক বছরে নারী নির্যাতনের প্রায় ২৬টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে যৌতুকের মামলা রয়েছে ১০টি। তবে বিয়েবিচ্ছেদ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।

জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচটি উপজেলায় মোট কাজি (নিকাহ রেজিস্ট্রার) রয়েছেন ৭৪ জন। এর মধ্যে মুসলিম কাজি ৬৪ ও হিন্দু পুরোহিত রয়েছেন ১০ জন।

একদিকে যেমন বিয়েবিচ্ছেদ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে, অন্যদিকে এই বিচ্ছেদ ঠেকাতে ভূমিকা রাখছেন জেলা-উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা। তবে স্থানীয় প্রতিনিধিরা বলছেন, একে অন্যের প্রতি আস্থা না রাখার কারণেই হচ্ছে এই সমস্যাগুলো।

একটি সংসারে তালাক জিনিসটি তখনই আসে, যখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো সামাজিকতা থাকে না। তবে বর্তমানে যে বিষয়টি লক্ষ করছি, উভয়ের মধ্যে কোনো ধরনের সমঝোতা না থাকা, জোর করে বিয়ে দেওয়া এবং স্বামী বেকার ও মাদকাসক্ত হওয়ার কারণেই স্ত্রী ধৈর্য হারিয়ে বিয়েবিচ্ছেদের মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এরপরও আমরা চেষ্টা করছি এ সমস্যার সমাধান করতে।

মোশারুল ইসলাম সরকার, রাজাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজাগাঁও ইউনিয়নের এক গৃহবধূ (৩০) বলেন, বিয়ে করেছেন তিন বছর হয়ে গেল। কিন্তু আমার স্বামী জীবিকার জন্য কোনো কাজ করেন না। বিনা কারণে আমাকে সন্দেহ করেন। সব সময় আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। শুধু পরিবারের ইচ্ছায় আমাকে বিয়ে করতে হয়েছে। কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে আমাকে তালাক নিতে হয়েছে।

আরেক নারী (৪৫) বলেন, একটি মেয়ে কখনো সামান্য কারণে বিয়েবিচ্ছেদ চান না। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সীমা যখন অতিক্রম হয়ে যায়, তখনই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে হয়।

এ বিষয়ে সালন্দর ইউনিয়নের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, একজন স্ত্রীর কর্তব্য তার স্বামীর যত্ন নেওয়া, সর্বদা স্বামীর মনকে জয় করার চেষ্টা করা। পরিবারটির খেয়াল রাখা। কিন্তু আমার স্ত্রী কোনো দিক দিয়েই তা করতে ব্যর্থ ছিলেন। সব সময় ঝগড়া লেগে থাকত। একপর্যায়ে কোনো কিছুর সমাধান না হওয়ায় আমাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তবে বিচ্ছেদের আগে অনেকবার বসে সমাধান করার চেষ্টা হলেও কোনো লাভ হয়নি।

শহরের হাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা আতিয়ার রহমান বলেন, আমাদের বিয়ের বয়স ৩০ বছরের বেশি। আমাদের মধ্যে কখনো বিয়েবিচ্ছেদের কোনো চিন্তা মাথায় আসেনি। সংসারে পরস্পরের অধিকার রয়েছে, সেগুলো যথাযথভাবে আদায় করা হলে এই সিদ্ধান্তে যেতে হয় না। ভুল যারই হোক, সেগুলো স্বীকার করে নেওয়া ও অতিদ্রুত সমাধান করে নেওয়াই সঠিক কাজ। সেই সঙ্গে সবকিছুকে সহজভাবে মেনে নেওয়ার চিন্তা গড়ে তুললেই একটা বিবাহিত জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে।

এ ব্যাপারে আতিয়ার রহমানের স্ত্রী জমিলা বেগম বলেন, একটা সংসার সুন্দরভাবে গড়তে হলে একে অপরকে সম্মান করতে হবে। ছাড় দেওয়ার মনমানসিকতা থাকতে হবে। উভয়ের মধ্যে আন্তরিকতা ও ভালোবাসা থাকতে হবে। এসব বিষয় একটি দাম্পত্য জীবনে মেনে চললেই বিয়েবিচ্ছেদ বিষয়টি আর মাথায় আসবে না।

ঢাকা পোস্টের সঙ্গে সংসারজীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা হয় ঠাকুরগাঁও শহরের নাসরিন আখতার শিরিন ও মোস্তফা ছলিমুজ্জামান কামু দম্পতির। তারা বলেন, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা সমানভাবে থাকলেই সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ে তোলা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই ছাড় দিতে হবে।

যৌথ পরিবারে বিয়ে হওয়া নাসরিন আখতার তার সংসারজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, আমি দেবর-ননদদের নিজের ভাই-বোনের মতো করে দেখেছি। নিজের সন্তানদের মতো করে তাদেরও লেখাপড়ায় সহযোগিতা করেছি। আমার শ্বশুরও রাগী মানুষ ছিলেন। কিন্তু নিজের বাবা মনে করেই স্বাভাবিকভাবে নিতাম। আর আমার বাবার বাড়ি থেকেও কখনো এমনটা বলা হয়নি যে তোমার অনেক কষ্ট হয়। এমন পরিবার থেক তুমি চলে আসো। সব সময় চিন্তা করেছি সবাই একসঙ্গে ভালো থাকার। নিজেই শুধু ভালো থাকব, এমনটা কখনো চিন্তা করিনি।

মোস্তফা ছলিমুজ্জামান বলেন, আমরা পরিবারে অনেক কষ্ট করেছি তো, সে কারণে অন্য কিছু আমাদের মনে আসেইনি। কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে আমার সংসারজীবন এগিয়ে গেছে। আমাদের যখন খারাপ লাগত, তখন আমার বই পড়তাম। এ অভ্যাস আমরা মা-বাবার কাছে পেয়েছি। তারাও বই পড়তেন। ধৈর্য লাগবে, পরস্পরের প্রতি আস্থা লাগবে। একজন রেগে গেলে আরেকজনকে চুপচাপ থাকতে হবে। আমাদের মধ্যেও মান-অভিমান হতো। কিন্তু একজন রেগে গেলে আরেকজন চুপ থাকতাম। ছাড় দিয়েছি। এতে আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা চাইনি সংসারে কোনো অশান্তি হোক।

আমার এক ছেলে, এক মেয়ে। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, দাদাশ্বশুর, নয়জন দেবর-ননদসহ ২০ থেকে ২৫ জনের সংসার ছিল। তবু আমাদের মধ্যে মিল-মহব্বত বেশি ছিল। আমাদের সন্তান হওয়ার পরও কখনো চিন্তা করিনি শ্বশুর-শাশুড়ি থেকে আলাদা হওয়া, সংসারের নানা চাপের কারণে সন্তানদের নিয়ে আলাদা হওয়ার। সব সময় চেয়েছি আমার সন্তানরা পরিবারের সঙ্গে বড় হোক।

নাসরিন আখতার শিরিন

বর্তমান সময়ের পারিবারিক জীবন ও সুখী দাম্পত্য গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে এ দম্পতি বলেন, এখনকার সময়ে এসব চিন্তা করে না দম্পতিরা। হুট করে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। কী কারণে ভুল হচ্ছে, এসব অন্তর্নিহিত ভেবে সমাধান করতে হবে। বাইরের সমাজে বন্ধুবান্ধব থাকতেই পারে। তবে তা যেন কখনোই পরিবারের মধ্যে না আসে। বাইরের তৃতীয় পক্ষকে কখনোই দাম্পত্যজীবনে না জড়ানো এবং হস্তক্ষেপ করার সুযোগ না দেওয়ার পরামর্শও দিলেন এই সুখী ও সফল দম্পতি।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ঠাকুরগাঁও জেলা সম্পাদক আব্দুল লতিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে বিয়েবিচ্ছেদের মূল কারণ হলো বাল্যবিয়ে। যখন একটি মেয়ের বয়স না হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায়, তখন মেয়েটিকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আরেকটি কারণ রয়েছে, যেটি হলো ইন্টারনেটের অপব্যবহার। অনেক সময় দেখা যায় স্বামী ও স্ত্রীর মান-অভিমানের মধ্যে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বিভ্রান্তকর তথ্য দিচ্ছেন। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। পরে একপর্যায়ে তারা বিচ্ছেদের মতো সিদ্ধান্তে চলে যান।

তিনি আরও বলেন, তবে এখন নারীরা আর আগের মতো অবস্থানে নেই। তারা কর্মমুখী হয়েছেন। ফলে এখন অনেকেই নির্যাতন মেনে নিতে চান না। একটি ভালো কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তায়ও বিয়েবিচ্ছেদের প্রবণতা বেড়েছে।

ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আইনজীবী এ টি এম নজমুল হুদা বলেন, যে মামলাগুলো হচ্ছে, এগুলো শুধু যৌতুকের কারণেই হচ্ছে, সেটা নয়। কিছু পারিবারিক কলহের কারণেও এ ধরনের মামলা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে পারিবারিক বিরোধ বেড়ে যাওয়ার কারণেই বিচ্ছেদের হার বাড়ছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের বেসরকারি সংস্থা মানবকল্যাণ পরিষদের প্রজেক্ট ম্যানেজার (পিএম) রাশেদুল আলম বলেন, প্রতি মাসেই আমরা নারী নির্যাতনের ওপরে একটা সার্বিক প্রতিবেদন নিয়ে থাকি। সে অনুযায়ী এক বছরে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগই নারী নির্যাতনে শিকার হয়েছেন। এই নির্যাতনগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ পারিবারিক নির্যাতন।

বিভিন্ন ইউনিয়নে মাঠপর্যায়ে আমাদের কিছু সদস্য কাজ করেন। যাদের মাধ্যমে আমরা মাসে দু-একটা নারী-পুরুষ উভয়কে সঙ্গে নিয়ে একটি করে নারী নির্যাতনবিরোধী সভা করে থাকি। এতে আমরা সবাইকে সচেতন করে থাকি নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে। এরপরও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতন হচ্ছে। তারা আমাদের কাছে এলে তাদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে থাকি বা যদি কেউ আইনি সহায়তা চান, তাহলে সেটার জন্য সাহায্য করি।

রাশেদুল আলম, বেসরকারি সংস্থা মানবকল্যাণ পরিষদের প্রজেক্ট ম্যানেজার

ঠাকুরগাঁও মহিলা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রোকসানা বানী হাবীবা বলেন, একটা সময় নারীরা নির্যাতনের বিষয়টি সহ্য করতেন। কিন্তু এখন আর আগের মতো কেউ সেটা সহ্য করতে চান না। কারণ, নারীরা আগের থেকে বেশি সচেতন হয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা রোজগার করতে শিখেছেন। স্বামীদের ওপর নির্ভরশীলতাও কমেছে। তবে বিয়েবিচ্ছেদের বিষয় তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত না নিয়ে একটু চিন্তা করেই সামনে এগোনো উচিত। তবেই বিয়েবিচ্ছেদের হার কমবে বলে আমি মনে করি।

জেলা নিকাহ ও রেজিস্ট্রার (কাজি) সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মজিবর রহমান বলেন, বর্তমান সময়ে বিয়েবিচ্ছেদের মূল সমস্যা হলো, উভয়ের মধ্যে ত্যাগের-সমঝোতার বিষয়টি থাকে না। বিশ্বাসের বিষয়টি থাকে না। কেউবা বিয়ে করছেন পরিবারের চাপে পড়ে। কেউবা করছেন নিজের পছন্দে। এ জন্য কিছুদিন গেলেই উভয়ের মধ্যে পারিবারিক কলহ বাড়ে, শুরু হয় বিয়েবিচ্ছেদ।

এ বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব সরকার বলেন, একটা সময় বিয়ের আগে ছেলে ও মেয়ের পরিবারের লোকদের মধ্যে সমন্বয় হতো। কিন্তু এখন সেটি আর দেখা যায় না। এখন সেটা থেকে আমরা বঞ্চিত। সেই সঙ্গে আরেকটি বিষয় লক্ষ করা যায়, অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়র বিয়ে দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ভুল তারিখ দিয়ে জন্মসনদ বানিয়ে নিচ্ছে। যখন একটা মেয়ে সংসার-স্বামী, নতুন বাড়িটির মানুষকে বুঝে উঠতে পারে না, তখনই তার ওপর একটা চাপ তৈরি হয়। ফলে একপর্যায়ে সেই বিয়ে আর টিকে থাকে না।

তিনি আরও বলেন, সব কাজিকে বলে দেওয়া হয়েছে, সঠিক কোনো সনদ ছাড়া যাতে বিয়ে না দেওয়া হয়। সেটি লক্ষ রাখতে হবে। যদি কেউ কোনো অপরাধ করে থাকে, তাহলে সেই কাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমাদের এখানে অনেক অলিখিত কাজি রয়েছেন, তারাই এ ধরনের বাল্যবিয়েগুলো দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে এমন একজন ভুয়া কাজির বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের পরামর্শ, বিয়ে একটি আল্লাহর নেয়ামত। একটি সমাজ ও জীবন সন্দরভাবে গড়ে ওঠে বিয়ের মাধ্যমে। তাই ভবিষ্যৎ সমাজ বিনির্মাণে এখনই সমাজের সবচেয়ে এই ভয়ংকর বিষয়টি নিয়ে একসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভাবতে হবে।

এমএসআর/এনএ