ঈদুল আজহা শেষ করে প্রিয়জনদের কাছ থেকে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এতে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে ঈদের তৃতীয় দিন সকাল থেকেই যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে কোথাও কোনো ধীরগতি বা যানজট দেখা যায়নি।

এ ছাড়া ঈদের আগেই ঝুঁকিপূর্ণ নলকা সেতুর পাশেই নবনির্মিত নলকা সেতুর ঢাকাগামী লেন খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে উত্তরের ২২ জেলার মানুষ ঈদ উদযাপন শেষে যথেষ্ট স্বস্তি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে পারবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সকালে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান ও সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক।

মহাসড়কে এখনো যানবাহনের চাপ তেমন বাড়েনি। তবে দুপুর পর থেকে চাপ বাড়তে পারে বলেও জানান পুলিশের এই দুই কর্মকর্তা।

ওসি মো. লুৎফর রহমান বলেন, মহাসড়কে যানবাহন ধীরে ধীরে একটু বাড়ছে। তবে আজ ঈদের তৃতীয় দিনে যে পরিমাণ যানবাহন চলাচল করার কথা, সে তুলনায় যানবাহনের চলাচল খুবই কম। কোথাও কোনো ধীরগতি বা যানজট তো দূরে হাটিকুমরুল গোল চত্বর ও এর আশপাশের এলাকা এখন পর্যন্ত অনেকটা ফাঁকাই রয়েছে।

তিনি বলেন, ঈদ-পরবর্তী যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সব কর্মজীবী মানুষের কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাব। মহাসড়কের হাইওয়ে থানার অন্তর্ভুক্ত এলাকায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেড় শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা আছে। পাশাপাশি মোবাইল টিম ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হবে দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন।

তিনি আরও বলেন, ঈদের আগে নলকা নবনির্মিত সেতুর ঢাকাগামী লেনটিও খুলে দেওয়ায় হাটিকুমরুল গোল চত্বর এলাকাসহ হাইওয়ে থানার আওতাভুক্ত রাস্তাতে ঢাকামুখী যাত্রায় কোনো যানজট হবে না বলেই আমরা মনে করছি।

জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক সালেকুজ্জামান খান বলেন, ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ ঈদের তৃতীয় দিন সকাল পর্যন্ত এখনো মহাসড়কে গাড়ির তেমন চাপ পড়েনি। এর আগে ঈদের পরের দিন সোমবার সারা দিনই মহাসড়ক একদম ফাঁকা ছিল। বিকেল থেকে মহাসড়কে যাতায়াত একটু বাড়লেও মূলত আজ সকাল থেকে মহাসড়কে কিছু গাড়ি চলতে শুরু করেছে।

তবে এখন পর্যন্ত সেই হারে যানবাহন বাড়েনি। তবে বিকেল থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে বলেও মনে করছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

শুভ কুমার ঘোষ/এনএ