পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। গত ১২ জুলাই সরকারি অফিস খুললেও শিল্প-কলকারখানা খুলবে আগামীকাল শনিবার (১৬ জুলাই)। ফলে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকেই গাড়ির চাপ বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও তেমন কোনো ধীরগতি বা যানজট নেই। উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে।

বিকেল ৫টার দিকে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান ও সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকাগামী লেনে যানবাহনের চাপ প্রচণ্ডভাবে বাড়ছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের ঝাঐল ওভারব্রিজ এলাকায় মাঝে মাঝে একটু গাড়ির দীর্ঘ সাড়ি ও ধীরগতি হলেও মহাসড়কের অন্য কোথাও কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই। হাটিকুমরুল গোলচত্বর, নকলা ও কড্ডার মোড় এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। 

মহাসড়কের পাচলিয়া এলাকা থেকে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামীকাল থেকে গার্মেন্টস খুলছে, তাই আজ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তবে কোথাও কোনো ধীরগতি বা যানজট নেই। বগুড়ার শেরপুরে একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটায় সেটার চাপ কিছুটা চান্দাইকোনা এলাকায় এসে পৌঁছেছে। বিকল।যান সরিয়ে নিতে সেখানকার পুলিশ কাজ করছে, সেটাও কিছুক্ষণের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ঈদ পরবর্তী যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সকল কর্মজীবী মানুষের কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাব। মহাসড়কের হাইওয়ে থানার অন্তর্ভুক্ত এলাকায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেড় শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা আছে। পাশাপাশি মোবাইল টিম ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আশা করছি ঈদ পরবর্তী যাত্রায় মহাসড়কে কোনো ভোগান্তি থাকবে না। 

সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদুল আজহার পর থেকে মহাসড়ক অনেকটা ফাঁকাই ছিল। তবে আজ সকাল থেকে মহাসড়কে গাড়ির প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সন্ধ্যা থেকে যানবাহনের চাপ আরও বাড়তে পারে। 

শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর