মো. ওদুদ মাতুব্বর

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওদুদ মাতুব্বরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরও দুটি মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার এ মামলা দুটি করা হয়।

নতুন দুই মামলার একটির বাদী উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা লাল মিয়ার ছেলে ইয়াদ আলী (৩৯)। গত ৮ জুলাই দিয়াপাড়া গ্রামে তার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তিনি এ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ মোট ৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এ মামলাটি সালথা থানায় নথিভুক্ত করা হয়।

অপর মামলাটি করেন একই ইউনিয়নের মীরের গট্টি গ্রামের বাসিন্দা শেখ তসিরের ছেলে শেখ মজিবর (৪৫)। গত ২১ জুন তার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ মোট ১০ জনকে আসামি করা হয়। আজ শনিবার এ মামলাটি থানায় নথিভুক্ত করা হয়।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওদুদ মাতুব্বরের নামে নতুন করে দুটি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে সালথা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হলো।

এর আগে গত রোববার (৯ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরকে প্রধান আসামি করে ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে গট্টি ইউনিয়নের দিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বাড়িতে হামলার ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জয়গুন বেগম বাদী হয়ে সালথা থানায় মামলা করেন। গত ৮ জুন বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

ওই মামলায় গত বুধবার (১৩ জুলাই) ফরিদপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৬ নং আমলি আদালতে ওদুদ মাতুব্বরসহ ৩৩ জন আসামি হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান। আদালত ২২ জনের জামিন মঞ্জুর  করেন। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান ওদুদ মাতুব্বরসহ ১১ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নগরকান্দা সার্কেলের দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ওদুদ মাতুব্বরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।  

জহির হোসেন/আরএআর