নীলফামারীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করে বিশেষ মোনাজাত করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা। রোববার (১৭ জুলাই) সকাল ৯টায় সদর উপজেলার ইটাখোলা কানিয়াল খাতা মদিনাতুল উলুম কিন্টারগার্ডেন মাঠে নামাজ আদায় করা হয়।

নামাজ শেষে অব্যাহত অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য ও আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এতে ইমামতি ও মোনাজাত পরিচালনা করেন নীলফামারী ইমাম মারকাস মসজিদের খতিব মাওলানা সাদিক শাহেদ।

জানা গেছে, বাংলা দিনপঞ্জির হিসাব অনুযায়ী প্রকৃতিতে এখন শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহ চলছে। কিন্তু এই ভরা বর্ষা মৌসুমেও দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টির দেখা মিলছে না। আকাশে কালো-সাদা মেঘ ভেসে বেড়ালেও এক পশলা বৃষ্টি হচ্ছে না। 

এদিকে খাল-বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আমন চাষিরাও। আমনের চারা রোপণের উপযুক্ত সময় আষাঢ়ের শেষ সপ্তাহ থেকে শ্রাবণের শেষ পর্যন্ত। এবার মৌসুমের শুরু থেকেই স্বাভাবিক বৃষ্টির দেখা পাচ্ছেন না কৃষক। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে খেতে সেচ দিতে কৃষকের বাড়তি খরচ হবে। আবার খেতে আগাছা, রোগ ও পোকার আক্রমণ বেড়ে যাবে। এতে ধানের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ইমাম মাওলানা সাদিক শাহেদ বলেন, প্রচণ্ড খরায় মাঠের বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। প্রাণিকুলসহ মানবজাতির এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে ও মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনসহ আনুগত্য প্রকাশে সবাই দুই হাত তুলে মোনাজাত করেছি। আল্লাহ যেন কবুল করেন।

ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেদায়েত আলি শাহ ফকির ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল ৯টায় বিশেষ এই নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহ চললেও নীলফামারীতে বৃষ্টির দেখা নেই। এই সময়টাতে ধান রোপণ শেষ হয়। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির অভাবে জমি চাষ বা প্রস্তুত করতে পারেনি মানুষ। তাছাড়া খরায় মাঠের অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে ও মহান আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ নামাজ আদায় করেছেন।

শরিফুল ইসলাম/এসপি