‘কাকে রেখে কাকে সান্ত্বনা দেব’
ঈদুল আজহা উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণায় গিয়েছিলেন ইমরুল মিয়া। ছুটি শেষে আজ ফিরছিলেন বর্তমান আবাস মৌলভীবাজারে। পথে হবিগঞ্জে দুর্ঘটনার শিকার হয় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি। মারা যান ইমরুলের স্ত্রী হেলেনাসহ ৪ জন। গুরুতর আহত হন ইমরুলসহ ৮ জন। মাইক্রোবাসের চালক ছাড়া হতাহতরা সবাই নিকটাত্মীয়।
সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ৪ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হন।
বিজ্ঞাপন
নিহতরা হলেন- নেত্রকোণার ফতেহপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে মুরাদ (২২), একই এলাকার সুরুজ মিয়ার স্ত্রী দিননারি বেগম (৪০) ও ইমরুল মিয়ার স্ত্রী হেলেনা বেগম (২৫)। নিহত মাইক্রোবাস চালকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- নিহত হেলেনা বেগমের স্বামী ইমরুল মিয়া (৩৫), নেত্রকোণার মদন উপজেলার আব্দুল কাদিরের ছেলে কামরুল (২৬), মৌলভীবাজারের আমজাদ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন (৩৫), সুরুজ আলীর ছেলে ফাইজুল (৩০), আনোয়ার (২৬) ও আতিকুর (৩৫)। তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আহত কয়েকজন জানান, প্রথমে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এরপর একটি ট্রাক এসে মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসের যাত্রীরাই হতাহত হন বেশি।
নিহত একজনের স্বজন জুনু বেগম জানান, নিহত হেলেনা বেগমসহ হতাহতদের সবাই একে অপরের আত্মীয়। ঈদ উপলক্ষে তারা নেত্রকোণার মদন উপজেলার ফতেহপুরে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আজ মাইক্রোবাসে করে মৌলভীবাজারের বর্তমান ঠিকানায় ফিরছিলেন তারা।
তিনি বলেন, হতাহতদের মধ্যে আমার খালা, খালাতো ভাই ও ভাবি রয়েছেন। আমরা কাকে রেখে কাকে সান্ত্বনা দেব, কী করব বুঝতে পারছি না।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ জানান, দুপুর ২টার দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। এরপর তাদের হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। মাইক্রোবাস চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপর তিনজন হাসপাতালে মারা যান। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো উদ্ধারের কাজ চলছে। বর্তমানে মরদেহ চারটি হাসপাতালে আছে।
আরএআর