বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ছয় দফা দাবিতে চুয়াডাঙ্গার স্কুল-কলেজের ১২ শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্লোগানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। বুধবার (২০ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ আল সাদিকের নেতৃত্বে স্কুল-কলেজের ১২ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ সময় ছয় দফা দাবি তুলে ধরে যাত্রী হয়রানি ও টিকেট কালোবাজারি রোধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বিক্ষোভ করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— টিকিট ক্রয়ে যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, হয়রানির ঘটনায় তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে, যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে, অনলাইন কোটায় টিকিট ব্লক বা বুক করা বন্ধ করতে হবে, পাশাপাশি অনলাইন-অফলাইনে টিকিট ক্রয়ে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে; যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে; ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক, তত্ত্বাবধায়কসহ অন্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটর, শক্তিশালী তথ্য সরবরাহব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেলসেবার মান বাড়াতে হবে এবং ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনা মূল্যে খাবার পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন-ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ছয় দফা দাবির সঙ্গে উল্লেখযোগ্য খুলনা-গোয়ালন্দঘাটগামী নকশিকাথা এক্সপ্রেস ট্রেনে বেশির ভাগ যাত্রীরা দাঁড়িয়ে এবং ঝুলে যাতায়াত করে থাকেন। তাই ট্রেনের বগি বাড়ানো হলে যাত্রীদের সুবিধা হবে। স্টেশনে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা হলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের নাইমুর রহমান, জহিরুল ইসলাম জনি, মনিরুল ইসলাম, রিপন ইসলাম, হাফিজুর রহমান। চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মুশফিকুর রহমান, সাইফুল্লাহ আল সাদিক, ফাহিম উদ্দিন, মঈন আশরাফ, মাহাবুব ইসলাম আকাশ, নাসীফ আহমেদ, ইউশা হাবিবুল্লাহ মল্লিক, মোহাম্মদ পান্না ও সুমন সর্দার।

আফজালুল হক/এনএ