ঘর না পেয়ে হতদরিদ্র ব্যক্তিরা এখন হতাশাগ্রস্ত

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর দেওয়ার আশ্বাসে অসহায় ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ভুক্তভোগী তিনজন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের নাম এইচ এম কামরুজ্জামান খোকন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চাটমোহর উপজেলাধীন নিমাইচড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বহরমপুর গ্রামের বাসিন্দা মোনেকা খাতুন, জোছনা রানী ও পরেশ চন্দ্র দাস তিনজন ২০১৯ সালের প্রথম দিকে নিমাইচড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান খোকনের কাছে সরকারি ঘর বরাদ্দ চাইলে তিনি বলেন, সরকারি ঘর পেতে হলে ২০ হাজার করে টাকা লাগবে। পরে তারা এনজিও থেকে কিস্তির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে চেয়ারম্যানের হাতে টাকা জমা দেন।

লিখিত সূত্রে আরও জানা যায়, পরেশ চন্দ্র দাস ৫ হাজার টাকা, জোছনা রানী ৮ হাজার, মোনেকা খাতুন ১০ হাজার টাকাসহ মোটা ২৩ হাজার টাকা দেন চেয়ারম্যানকে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও চেয়ারম্যান তাদের ঘর দিতে ব্যর্থ হন। এমনকি তাদের প্রদান করা টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না তিনি। এ ব্যাপারে তারা চেয়ারম্যানের কাছে ঘরের কথা বলতে গেলে তাদের গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেন ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান খোকন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত। আমি কারও কাছ থেকে ঘর দেওয়ার কথা বলে এক টাকাও নিইনি। যারা এগুলো বলে বেড়াচ্ছে, তাদের আমার সামনে এসে বলতে বলেন। তখন প্রমাণ হবে চেয়ারম্যান টাকা নিয়েছে নাকি নেয়নি!

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সৈকত ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযোগ সত্য হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিনামূল্যের ঘর বাবদ কেউ কোনো টাকা আদায় করতে পারবে না। কেউ অনৈতিকভাবে ঘরের জন্য টাকা আদায় করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাকিব হাসনাত/এনএ