হবিগঞ্জ শহরে নতুন শিডিউলে ৬ ঘণ্টার লোডশেডিং দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)। ২১ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২২ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত এই শিডিউলে লোডশেডিং দেওয়া হবে।

২৩ জুলাই নতুন করে আবার সিডিউল দেবে বিউবো। এর আগে প্রতিটি ফিডারে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা করে লোডশেডিং ছিল। নতুন সিডিউলের ফলে হবিগঞ্জ শহরবাসীকে প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা করে লোডশেডিং সহ্য করতে হবে। শহরবাসীর অভিযোগ- এমনিতেই লোডশেডিংয়ের কারণে জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে আবার বিউবোর দেওয়া সিডিউলও মানা হচ্ছে না।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হবিগঞ্জ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরের বিদ্যুৎ বিতরণ ৭টি ফিডারের আওতায় রয়েছে। ফিডারগুলো হল- শ্যামলী, নতুন বাসস্ট্যান্ড, উমেদনগর, রামপুর, স্টাফ কোয়ার্টার, বাইপাস ও রাজনগর।

উমেদনগর শিক্ষা ও উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি এসএম লুৎফুর রহমান জানান, বিদ্যুত বিভাগের দেওয়া লোডশেডিংয়ের সিডিউল অনুসরণ করছে না সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। একটু পর পরই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে, আবার আসছে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তাদের খেয়াল-খুশি মতো বিদ্যুৎ দিচ্ছেন আবার নিচ্ছেন। এটা কাম্য নয়।

শহরের চৌধুরী বাজার নাতিরাবাদ (নোয়াবাদ) এলাকার বাসিন্দা রুবেল আহমেদ চৌধুরী জানান, তাদের এলাকাতেও সিডিউল অনুযায়ী লোডশেডিং করছে না বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। সকালে প্রায় ২ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হয়েছে। অথচ সিডিউল অনুযায়ী এক ঘণ্টা লোডশেডিং হওয়ার কথা। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

শহরের শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা কবি তাহমিনা বেগম গিনি বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যায় তাদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। শ্যামলী এলাকার অনেকেই বিদ্যুতের অভাবে পানি সমস্যায় ভুগছেন। কারণ পৌরসভা সকাল ও বিকেলে ২ বার পানি দিয়ে থাকে। সকাল ৭টায় প্রথম পানি দেয়। ওই সময় অনেকেই ঘুমিয়ে থাকেন। তারা বিকেল বেলা পানি সংগ্রহ করেন।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, চাহিদা অনুযায়ী আমরা বরাদ্দ পাচ্ছি কম। তারা যে পরিমাণ বিদ্যুত পাচ্ছেন, তা দিয়ে সিডিউল অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব নয়। তাই নতুন করে সিডিউল তৈরি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী লোডশেডিং করা হবে।

এনএফ