কুমিল্লার মুরাদনগরে মাদকসহ জনতার হাতে আটক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হাসান রাসেলকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

ওবায়দুল হাসান রাসেল (৪০) পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার ৯ নম্বর গুনাইঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

শুক্রবার (২২ জুলাই) রাতে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসিম। তিনি বলেন, মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা এলাকায় ১০ গ্রাম গাঁজাসহ আওয়ামী লীগ নেতা রাসেলকে আটক করে জনতা।

পরে পুলিশে খবর দিলে মুরাদনগর থানা পুলিশ তাকে সেখান থেকে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে, আওয়ামী লীগ নেতা রাসেলকে ১০ গ্রাম গাঁজা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। তাই মুচলেকা রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

তাকে ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ওই এলাকার মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। সেখানে অভিযোগ করা হয়, আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতাদের তদবিরে তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা এলাকার ইউপি সদস্য রাসেল মুন্সি বলেন, রাসেল প্রায়ই মাদক বিক্রি করতে পরমতলা এলাকায় আসতেন। এ নিয়ে তাকে কয়েক দফা সতর্ক করা হয়। শুক্রবার সকালে এক সহযোগীসহ মোটরসাইকেলে ফের মাদক বিক্রির জন্য পরমতলা বাজারে এলে স্থানীয়রা তাকে ধাওয়া করে আটক করেন। এ সময় তার কাছে ১০ গ্রাম গাঁজা এবং ৫-৬ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। তবে তার সহযোগী পালিয়ে যায়। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ এসে রাসেলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। 

অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল হাসান রাসেল বলেন, আওয়ামী লীগের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরমতলা বাজারে আমাকে আটক করে মারধর করা হয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করেছে। যারা আমার ওপর আক্রমণ করেছে, তারাই আমাকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।

এসপি