পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাকে আহ্বায়ক করে এক দশক পর বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শনিবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত ৩২ সদস্যের কমিটির তালিকা জয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। আগামী তিন মাসের জন্য এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে রইজ আহম্মেদ মান্নাকে। তিনি বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের কার্যনির্বাহী সদস্য। এছাড়া চলতি মাসে গঠিত বরিশাল বিভাগীয় আঞ্চলিক সড়ক পরিবহন মালিক ফেডারেশনের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল বিভাগীয় আঞ্চলিক সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ঐক্য ফেডারেশনের আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।

জানা গেছে, তিনি সরকারি ব্রজমোহন কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বরিশাল শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন কলেজ থেকে চলতি বছর (২০২২) সেকেন্ড ক্লাস পেয়ে এলএলবি সম্পন্ন করেছেন।

কমিটিতে মো. মাইনুল ইসলাম ও আরিফুর রহমান শাকিলকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- ফয়সাল বারি নয়ন, কিসমত শাহারিয়ার হাসান (হৃদয়), হাছিবুর রহমান রাঞ্জন, মাহাবুর হাসান অমিত, ইয়াসিন আরাফাত, মো. সাইফুল ইসলাম পারভেজ, মো. আফজাল হোসেন পারভেজ, রাশেদুল ইসলাম আকাশ, আকাশ শিকদার, মো. রোমান হাওলাদার, মো. সিরাজুল ইসলাম রাকিব, আরিফুর রহমান অনিক, আহাম্মেদ রেদওয়ান ফাহিম, সাজ্জাদ আহাম্মেদ শান্ত, মো. মিরাজুল ইসলাম, মো. আল-আমিন, মো. শাওন রাব্বি, জামাশেদ আল ফাতাহ, শেখ তৌহিদুল ইসলাম, সাগর দেবাথ, রিয়াজ মল্লিক, তৌহিদুল ইসলাম শাওন, জয় মালি, রাফিজুল সান, হান্নান মল্লিক অভি, পারভেজ সিকদার, মো. ইমন রহমান সিকদার, ফয়সাল বিন জাবেদ, মাহাফুজুর রহমান।

এর আগে ২০২১ সালের ২৫ মে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসীম উদ্দিনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্র। মূলত ওই বছরের ২০ এপ্রিল বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি জসীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন। এ নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে বরিশাল ছাত্রলীগ।

তার পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ান বরিশালের এক কাউন্সিলরের মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন। ওই সময়ে তাকেও সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে জসিম উদ্দিনকে সভাপতি, অসীম দেওয়ানকে সাধারণ সম্পাদক এবং তৌছিক আহম্মেদ রাহাতকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে আংশিক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তৌছিক আহম্মেদ রাহাত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টোর অফিসার পদে চাকরির সুবাদে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান। ২০১৭ সালে অসীম দেওয়ান গ্রেপ্তারের পর তিনি আর বরিশালে ফেরেননি। ওদিকে জসীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এই পদে থেকে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন তিনি।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি