তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের ভাষা, সংস্কৃতি এবং আবহাওয়া একই। আমরা দুই দেশের মানুষের চলমান বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের এক হাজার ৯৮৪ জন সেনা সদস্যের জীবন উৎসর্গসহ ভারতের অসামান্য অবদানকে এদেশের মানুষ শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করে। 

রোববার (২৪ জুলাই) দুপুরে নাটোরের সিংড়া উপজেলায় আইটি/হাই-টেক পার্ক এবং সিনেপ্লেক্স ও ডরমেটরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব এবং ডিজিটাল আর্কিটেক সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্ববধানে ও পরামর্শে প্রযুক্তির উদ্ভাবনী সংস্কৃতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এখন আর বাংলাদেশ শ্রমনির্ভর অর্থনীতির দেশ নয়, তথ্য প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ একটি দেশ।

পলক আরও বলেন, এখানকার তরুণ প্রজন্ম যেনো উদ্যোক্তা ও আত্মনির্ভরশীল হতে পারে সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্রেন চাইল্ড ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। 

এ ছাড়া পাশেই রয়েছে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি), কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষ জনবল তৈরি হবে এবং তারাই এই হাই-টেক পার্কে কাজ করবে। তথ্য প্রযুক্তি খাতে ২০ লা তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি খাতে ১.৪ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করছে বাংলাদেশ।

অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন কার্যক্রমে বিনিয়োগসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ-ভারত। এসব পার্ক থেকে এদেশের তরুণ-তরুণীরা উপকৃত হবেন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও উন্নত হবে এবং অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব আরও জোরদার হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভারতীয় হাই কসিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা প্রমুখ। 

অনুষ্ঠান শেষে প্রযুক্তিতে সফল ১৯ জন উদ্যোক্তার হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

তাপস কুমার/আরআই