নেত্রকোণার মদনে টাকা চুরির অভিযোগে শিশুকে ধরে তার মাথা ন্যাড়া করে শিকলে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২৩ জুলাই) মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রুদ্রশ্রী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। 

জানা গেছে, শিশুটিকে বসতঘরে বেঁধে রাতভর নির্যাতনের পর রোববার সকালে আবার রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। পরে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রুদ্রশ্রী গ্রামের কাজল মীরের ছেলে সুমন মীর শনিবার সকালে তার বসতঘরে ১১ হাজার ৫০০ টাকা বাক্সে রাখে। টাকা বাক্সে রাখার সময় প্রতিবেশী শিশুসহ তার পরিবারের লোকজন ওই ঘরে উপস্থিত ছিল। বিকেলে হাওর থেকে ফিরে এসে বাক্সের টাকা না পেয়ে ওই শিশুকে সন্দেহ করে সুমন। পরে সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে তাকে পেয়ে ধরে নিয়ে গিয়ে ঘরে শিকলে বেঁধে রাখে। পরে রাতভর নির্যাতন শেষে রোববার সকালে শিশুটির মাথা ন্যাড়া করে বাড়ির সামনের বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলতান উদ্দিন ওই শিশুকে উদ্ধার করেন।

ওই শিশু জানায়, আমি টাকা চুরি করিনি। আমাকে শনিবার সন্ধ্যা থেকে সুমন তার ঘরে আটকে রেখে কয়েকজন লোক নিয়ে মারপিট করে। সকালে আমার চুল কেটে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। সুলতান মেম্বার আসার পর আমাকে ছেড়ে দেয়। আমি এর বিচার চাই।

নির্যাতনকারী সুমন মীর বলেন, শনিবার সকালে ওর সামনে ১১ হাজার ৫০০ টাকা একটি বাক্সে রাখি। আমার টাকা সে চুরি করেছে। এর জন্য তাকে শাস্তি দিয়েছি। কিন্তু এখনো আমার টাকা উদ্ধার করতে পারিনি।

ইউপি সদস্য সুলতান উদ্দিন বলেন, টাকা চুরি করায় শিশুটিকে মাথা ন্যাড়া করে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে সুমন মীর। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তার শিকল খুলে দেই। কাজটা খুব খারাপ করেছে।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জিয়াউর রহমান/এসপি