নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে পালিয়ে শাশুড়িকে বিয়ে করার ৯ বছর পর শ্বশুরের মামলায় জামাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে জামাইকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার আয়াতুল ইসলাম (৩৩) মোহনগঞ্জ উপজেলার সমাজ সহিলদেও ইউনিয়নের মেদিপাথরখাটা গ্রামের শাহ জামালের ছেলে।

মোহনগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দেড় বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি আয়াতুল ইসলাম। তিনি ৯ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদে জানতে পেরে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ, মামলার নথি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহনগঞ্জ উপজেলার সমাজ সহিলদেও ইউনিয়নের মেদিপাথরখাটা গ্রামের মতি মিয়ার মেয়ে মরিয়ম আক্তারকে বিয়ে করেন একই গ্রামের শাহ জামালের ছেলে আয়াতুল ইসলাম। বিয়ের কিছু দিন পর ২০১১ সালে শাশুড়ি নাসরিন আক্তারের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন জামাই। এক পর্যায়ে শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যান আয়াতুল। পালিয়ে সিলেটে গিয়ে বিয়ে করে সেখানেই সংসার শুরু করেন। 

এ ঘটনায় শ্বশুর মতি মিয়া বাদী হয়ে মোহনগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত ও বিচার শেষে ২০১৩ সালে রায় ঘোষণা করে আদালত। রায়ে জামাইকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি দুই হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেয় আদালত। তবে রায়ের পর থেকেই পলাতক ছিলেন জামাই। 

প্রসঙ্গত, দেড় বছর আগে মামলার বাদী মতি মিয়া মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জিয়াউর রহমান/এসপি