ঝিনাইদহে চিকিৎসক সেজে প্রতারণা করায় দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার সুমী এ দণ্ডাদেশ দেন। সেই সঙ্গে অনুমোদন না থাকা রাহেলা জেনারেল হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত সৌরভ হোসেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন রাহেলা জেনারেল হাসপাতালটি পরিচালনা করে আসছিলেন।
 
ভ্রাম্যমাণ আদালতের তথ্যে জানা যায়, সদর উপজেলা সাধুহাটি বাজারে অনুমোদন না নিয়ে রাহেলা জেনারেল হাসপাতালটি গড়ে তোলেন সৌরভ হোসেন। সেখানে তিনি নিজেকে এমবিবিএস পরিচয় দিয়ে মানুষকে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিথিলা ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার সুমী সেখানে অভিযান চালান। অভিযানে সৌরভ চিকিৎসক নন প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিথিলা পারভীন জানান, রাহেলা জেনারেল হাসপাতালটির অনুমোদন নেই। এ ছাড়া নিজেকে এমবিবিএস চিকিৎসক দাবি করে সেবা দিচ্ছিলেন সৌরভ। এ কারণে অভিযান চালিয়ে তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার সুমী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সৌরভ যে ডাক্তারি আইডি নম্বর বা রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করতেন, সেটা তার নয়। এই রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি ফেনীর চিকিৎসক মো. সৌরভ হোসেনের যার নম্বর ৫৬২৫৩। এই রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি সে দীর্ঘদিন ব্যবহার করে আসছিল। হাসপাতালের রেজিস্ট্রেশন না থাকায় হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/এনএ