নেত্রকোণার মদন উপজেলায় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার সময় রাস্তা থেকে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে গ্রেপ্তার হওয়া ওই দুই যুবককে নেত্রকোণা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রাব্বি মিয়া (২৫) ও অন্তর মিয়া (২৩)। রাব্বি উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের বাশরী (বাফলা) গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে এবং অন্তর একই গ্রামের মঞ্জিল হকের ছেলে।

মদন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, সংঘবদ্ধ এ ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরীটির বাবা মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে ৫ যুবকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার পর ওই দিন রাতেই অভিযুক্ত দুই যুবক রাব্বি মিয়া ও অন্তর মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় ওই কিশোরী তার মায়ের সঙ্গে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিল। পথে কেন্দুয়া-মদন সড়কের একটি এলাকায় অটোরিকশা থেকে নামতেই ওই পাঁচ যুবক অন্য একটি অটোরিকশায় এসে কিশোরীরকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যান। এ সময় কিশোরীর মা চিৎকার দিলে পরিবারের লোকজন কিশোরীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।

অন্যদিকে ওই পাঁচ যুবক কিশোরীকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে বাররী গ্রামের সেলিম মিয়া নামে এক ব্যক্তির ঘরে আটকে রেখে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে হত্যার ভয় দেখিয়ে আরেক দফা ধর্ষণ করার সময় প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পায়।

এ সময় ধর্ষকরা পালিয়ে গেলে কিশোরীর পরিবারের লোকজনকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে।

মো. জিয়াউর রহমান/এনএ