নাটোরের গুরুদাসপুরে এক কৃষকের শোবার ঘরের মেঝে খুঁড়ে ২৪টি গোখরা সাপের বাচ্চা ও ১টি মা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলার পৌর সদরের আনন্দনগর এলাকায় কৃষক সৈয়দ আলীর বাড়ি থেকে ২৫টি গোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়। 

কৃষক সৈয়দ আলী জানান, গত সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে কৃষক সৈয়দ আলীর স্ত্রী মেঝে পরিষ্কার করতে গিয়ে সাপের খোলস দেখতে পান। সেই দিনই ভোর রাতে তার নাতনিকে সাপে কাটলে স্থানীয় সাপুড়ে দিয়ে বিষমুক্ত করেন। পরে স্থানীয়দের পরামর্শে সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে খাটের নিচে কার্বলিক এসিড রেখে দেন।

পরে বুধবার (২৭ জুলাই) বিকেলে তিনি মেঝেতে একটি সাপের বাচ্চা দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন। পরে তারা এসে ঘরের মেঝেতে কোদাল ও শাবল দিয়ে খুঁড়তে থাকলে একের পর এক গোখরা সাপের বাচ্চাগুলো বেড়িয়ে আসে। এ সময় মা সাপটিও বেড়িয়ে আসে। এতে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে একটি মা সাপসহ গোখরা সাপের বাচ্চাগুলো মেরে ফেলেন। পরে সাপগুলো মাটিচাপা দেওয়া হয়।

স্থানীয় পরিবেশকর্মী নাজমুল হাসান জানান, সাপ মারা অন্যায়। আতঙ্কিত না হয়ে পরিবেশকর্মীদের অথবা স্থানীয় বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সাপগুলো উদ্ধার করে নির্দিষ্ট স্থানে ছেড়ে দেওয়া যেত।

পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজল করিম জানান, গ্রাম অঞ্চলে সাধারণত সাপের বিচরণ বেশি হয়ে থাকে। কৃষকের ঘর থেকে উদ্ধার করা সব সাপ মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সাপগুলো হত্যা করেনি। সাপগুলো বের করার সময় কোদালের আঘাতে মারা গেছে। সাপগুলো মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। 

তাপস কুমার/আরএআর