সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের হাওরে ডুবে বেশ কয়েকজন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় হাওর ভ্রমণে ১০ সতর্কবার্তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

১০ সতর্কবার্তা হলো

১। সাঁতার না জেনে এবং পানির গভীরতা সম্পর্কে অবগত না হয়ে যত্র-তত্র পানিতে না নামা।
২। চলন্ত নৌযানে/নৌকার কিনারায় বা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে অবস্থা না করা।
৩। যাত্রাপথে নিরাপত্তার স্বার্থে লাইফ জ্যাকেট বা বয়া ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৪। বৈদ্যুতিক খুঁটি বা তারের পাশ দিয়ে নৌকা গেলে সতর্কতা অবলম্বন করা।
৫। সন্ধ্যার পর ও বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে নৌকায় ভ্রমণ পরিহার করা।
৬। নৌকায় উচ্চস্বরে বাদ্যযন্ত্র না বাজানো।
৭। কোনো অচেনা স্থানে ভ্রমণে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন, ভ্রমণ বা খাদ্যগ্রহণ থেকে বিরত থাকা।
৮। হাওরের সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষার্থে ময়লা-আবর্জনা (পানির বোতল, চিপসের প্যাকেট) ইত্যাদি পানিতে না ফেলে নিদিষ্ট স্থানে ফেলা। 
৯। ২০ মিটারের কম যাত্রীবাহী নৌযানে সর্বোচ্চ ২০ জন ও ৪০ হর্স পাওয়ারের নিচে যাত্রীবাহী স্পিডবোটে সর্বোচ্চ ১০ জনের বেশি যাত্রী ভ্রমণ না করা।
১০। হাওরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলা।

প্রসঙ্গত, গত আড়াই মাসে কিশোরগঞ্জের হাওরে দুর্ঘটনায় বিভিন্ন বয়সের ২১ জনের মৃত্যু ও ১০ জন আহত হয়েছেন। 

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, যে স্থানগুলো থেকে নৌযানে পর্যটকদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে সেই স্থানগুলোতে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড বা বিলবোর্ডে লাগিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও ট্রলার ও স্পিডবোটেও এ সতর্কমূলক বার্তাগুলো থাকবে। সার্বক্ষণিক সতর্কতামূলক প্রচারণার গুরুত্ব দিয়ে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে হাওরে।

এসকে রাসেল/ওএফ