নানা আয়োজনে সাতক্ষীরায় বিশ্ব বাঘ দিবস পালিত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি উপশহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেজা রশীদ।
 
সভায় বাঘ নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. ওয়াসিউল ইসলাম। বক্তব্য দেন সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এমকেএম ইকবাল হুসাইন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন সদ্য বদলি হওয়া সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান। 

সভায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৮ সালের সর্বশেষ গণনায় সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। ২০১৫ সালে ছিল ১০৪টি বাঘ। এ বছর আবারও বাঘ গণনার সম্ভাবনা রয়েছে। বাঘের পায়ের ছাপ ও চলাফেরায় ধারণা করা হচ্ছে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

অধ্যাপক ড. মো. ওয়াসিউল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাঘ মহাবিপন্ন একটি প্রাণী। বিশ্বের ১৩টি দেশে ৩ হাজার ৯০০ বাঘ রয়েছে। বাঘের ৯টি প্রজাতির মধ্যে চারটি প্রজাতি ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পৃথিবী থেকে গত ১০০ বছরে ৯৫ শতাংশ বাঘ হারিয়ে গেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে বাঘের আবাসস্থল ক্ষয় ও ক্ষতিসাধন।

তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা, হরিণ শিকার বন্ধ করতে হবে। এমন ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের তথ্য প্রশাসন ও বন বিভাগকে জানাতে হবে। এছাড়া সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। সুন্দরবনের ক্ষতিসাধনের কারণে বাঘ হারিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের বহু দেশ বাঘকে কেন্দ্র করেই সুন্দরবনকে চেনে আবার সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে চেনে। সে কারণে বাঘ সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সবার।

আকরামুল ইসলাম/আরএআর