বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, যৌবনে নারীর প্রেমে পড়িনি, বরং দেশের প্রেমে পড়েছিলাম, নেতার প্রেমে পড়েছিলাম। তাই তো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে দেশ মাতাকে রক্ষা করতে হাসিমুখে যুদ্ধ করেছিলাম।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সাভারে গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ২৭তম ব্যাচের নবীন চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের বরণ, শপথ গ্রহণ ও কমিউনিটি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে আমার রাজনৈতিক দর্শনের মিল নেই। কিন্তু চেতনার মিল আছে। আমি উনাকে বঙ্গবন্ধুর মতোই ভালোবাসি। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দেশ মাতৃকার টানে সেদিন নিরাপদ জীবন রেখে অনিশ্চিত জীবনকে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি তখন ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে না তুললে, আহত মুক্তিযোদ্ধদের চিকিৎসা না দিলে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হয়তো আরও বেশি হতো। পক্ষাঘাতগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেত।

নবীন চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য স্থাপিত একটি প্রতিষ্ঠান। কাজেই এখানকার চিকিৎসকরা মানবিক হবে, ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে না, কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সেবার নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করবে না।

গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অবদান শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন এবং করতালি দিয়ে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন ও রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে নবীন শিক্ষার্থীরা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে সমবেত হন। সেখানে নবীন শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ ও সুচিকিৎসক হওয়ার জন্য পথ নির্দেশক আটটি শপথ বাক্য পাঠ করান গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার। 

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী ডা. মনজুর কাদির আহমেদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুসহ বিভাগীয় প্রধানগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মাহিদুল মাহিদ/আরআই