সমুদ্রে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত বছরের রেকর্ড ভেঙে ১০ দিনে ৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। যা দামের দিক থেকে গত বছরের তুলনায় প্রায় সাতগুণ এবং মাছের তুলনায় তিনগুণ বেশি। এর ফলে বেড়েছে রাজস্ব আদায়। পদ্মা সেতুর কারণে মাছের ভালো দাম পেয়ে খুশি মৎস্যজীবীরা।

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর প্রথম ১০ দিনে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ৯২ মেট্রিক টন ইলিশসহ ১৫০ মেট্রিক টন মাছ বিক্রি হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। গত বছরের তুলনায় এই মাছের পরিমাণ তিনগুণ। 

পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গত বছর নিষেধাজ্ঞার পর প্রথম ১০ দিনে মাছ বিক্রি হয়েছিল ৫১ মেট্রিক টন। যার মধ্যে ইলিশ ছিল মাত্র ২৯ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য ছিল প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। শুধুমাত্র গভীর সমুদ্রগামী ট্রলারে মাছ পাওয়া যাচ্ছে বেশি। 

এদিকে পদ্মা সেতুর কারণে অল্প সময়ে রাজধানীতে পৌঁছে যাচ্ছে মাছ। এ কারণে মাছের দাম ভালো পাচ্ছেন বলেন জানান আড়তদাররা।

সোবহান, মোস্তফা, সোহেল হোসেনসহ কয়েকজন আড়তদার বলেন, এখন ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যেই মাছ ঢাকায় পৌঁছে যায়। ফলে মাছ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। তাজা মাছে দামও ভালো পাওয়া যায়। গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি পরিমাণে মাছ বিক্রি হচ্ছে। এতে আমরা খুশি।

পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের বিপণন কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বলেন, সমুদ্রে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অবতরণকেন্দ্রে মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি। এ অবতরণ কেন্দ্রে বিক্রি হওয়া মাছের মোট দামের শতকরা ১.২৫ শতাংশ রাজস্ব আদায় করে সরকার।

খান নাঈম/আরএআর