দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরে পাইকারি ও খুচরা বাজারে কয়েক দিনের ব্যবধানে কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩-৪ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৯-২০ টাকায়। তবে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৪০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা মরিচের দাম বাড়াতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম এবং উৎপাদন নষ্ট হওয়ার কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে বলছেন ব্যবসায়ীরা।

পেঁয়াজের দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে। দেশের বিভিন্ন মোকামে পেঁয়াজের চাহিদা কমে আসায় কয়েক দিনের ব্যবধানে হিলি স্থলবন্দরে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে তিন থেকে চার টাকা করে। কয়েক দিন আগেও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২২ থেকে ২৩ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হলেও এখন সেই পেঁয়াজ ১৯ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহাবুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটি শেষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। যার ফলে কমতে শুরু করেছে দাম। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আর বাড়বে না। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। ক্রেতারাও কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পেরে খুশি।

হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে কাঁচা মরিচের উৎপাদন নষ্ট হওয়াতে সরবরাহ কমেছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম। আমরা পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, নওগাঁ থেকে কাঁচা মরিচ ক্রয় করে থাকি। বর্তমানে সেখানকার বাজারগুলোতে দাম বেশি। যার জন্য বেশি দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে।

ইমরান আলী সোহাগ/এসপি