বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি অভিযোগ করে বলেছেন, চায়ের দাওয়াতকে বিএনপি তামাশা হিসেবে দেখেছে। অথচ বিষয়টি সন্তোষজনক ছিল। সেক্ষেত্রে বিএনপি ধন্যবাদ দিয়ে বলতে পারতেন, তাদের এখন চা খাওয়ার সময় নেই। 

বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) সকালে ঢাকা থেকে বিমানযোগে রংপুরে এক দিনের সফরে এসে নগরীর সেন্ট্রাল রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। 

বিএনপির আন্দোলন যেন সহিংসতায় রূপ না নেয় সেই আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের একটিই কথা বিএনপির আন্দোলন যেন ধ্বংসাত্মক না হয়, মানুষের সম্পদ ও প্রাণহাণি না ঘটে। ঢিল ছোড়া, পুলিশকে উত্ত্যক্ত করা, আক্রমণ করা বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারে না। বিএনপি ধ্বংসাত্মক আন্দোলন পরিহার করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে সরকার স্বাগত জানাবে।

এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সরকার এক কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী সহায়তা করছে। এই কার্ডে কোনো অসঙ্গতি থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে। শহর থেকে গ্রামগঞ্জে তেল, চিনি, ডালের দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীজুড়ে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ছিল সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার। শিগগিরই এই সমস্যা কেটে যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের পণ্য আমদানি করতে ডলার খরচ হচ্ছে। তাই ডলারের ওপর চাপ পড়ছে। সেইসঙ্গে ডলারের একটু ক্রাইসিস তো আছেই। আমরা একটু সাশ্রয়ী হই, কম খরচ করি। বৈশ্বিক এই সংকট সকলকে মিলে মোকাবিলা করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনিসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। 

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি