ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয় গত ২৮ জুলাই। এতে নাজমুল হক মণ্ডলকে সভাপতি ও তানজির আহমেদ রাজিবকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তবে এই কমিটিতে যোগ্যদের বাদ দিয়ে আত্মীয়করণের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।

মহানগর কমিটিতে নিজের চাচাতো ভাইকে সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটিতে নিজের ভাগ্নিজামাইকে সাধারণ সম্পাদক করেছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু। এ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে এসে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন পদ-বঞ্চিতরা।  

এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক মোফাখখার হোসেন খোকন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিনার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা আহমেদ, সাবেক প্রচার সম্পাদক সুমন তাজ প্রমুখ।    

তাদের অভিযোগ, ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে মামলার আসামিকে সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফজালুর রহমান বাবুর ভাগ্নিজামাইকে সাধারণ সম্পাদক করার মাধ্যমে অযোগ্য, অচেনা এবং আত্মীয়করণের কমিটি করা হয়েছে। 

পদবঞ্চিত নেতারা আরও বলেন, কমিটিতে যাদের সভাপতি-সাধারণ করা হয়েছে তাদের কখনো আওয়ামী রাজনীতিতে ময়মনসিংহের রাজপথে লড়াই-সংগ্রামে পাওয়া যায়নি। আত্মীয়করণের মাধ্যমে অযোগ্যদের জেলা কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। আর্থিক সুবিধাও নেওয়া হয়েছে। এ পকেট কমিটির মাধ্যমে দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সেজন্য অচিরেই এ কমিটি বাতিল করে যারা শ্রম-ঘাম দিয়ে রাজনীতি করেছে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে। 

তারা আরও জানায়, আফজালুর রহমান বাবু আগামী দিনে ময়মনসিংহ-৪ সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে চান। আর এ কারণেই তিনি তার আত্মীয়-স্বজন ও নিজের লোকদের বিভিন্ন কমিটিতে পদ পাইয়ে দিচ্ছেন।  

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু। তিনি জানান, গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। যোগ্যরাই এই কমিটির নেতৃত্বে এসেছেন। এতে আত্মীয়করণ বা আর্থিক লেন-দেনের কোনো সুযোগ নেই। 

উবায়দুল হক/আরআই