কিশোরগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ২৫ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। মামলায় এরই মধ্যে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সদর মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ নেভিন, জেলা যুবদলের সভাপতি জি এস খসরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমনসহ ২৫ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ১৫০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নয়ন মিয়া তিনজন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. সোরান, ছাত্রদলকর্মী মো. জয়নাল এবং সন্দেহভাজন হিসেবে ছাত্রদলকর্মী সাদ্দাম মিয়াকে গতকালই গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম নিহতের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদল বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে ছাত্রদলের একটি মিছিল শহরের পুরান থানা হয়ে ইসলামিয়া সুপার মার্কেটের সামনে এসে জড়ো হয়। সেখানে সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। 

এতে পুলিশ সদস্য সবুজের মাথা ফেটে যায়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ জানান, পুলিশের ওপর হামলায় পুলিশ সদস্য আহতের ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে। 

এসকে রাসেল/আরআই