সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি আঞ্চলিক সড়কে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করার অভিযোগে যুবলীগ নেতা রাহাত খান রুবেলকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (০৫ আগস্ট) সন্ধ্যার পর উপজেলার তাড়াশ-রাণীরহাট আঞ্চলিক সড়কের বারুহাসের বেরখারি এলাকায় ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তাকে আটক করা হয়।

আটক রাহাত খান রুবেল (৩২) তাড়াশ উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ও তাড়াশ পৌরসভার খান পাড়া মহল্লার বেল্লাল হোসেন খানের ছেলে। তিনি তাড়াশ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন খানের ভাতিজা হন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল আটক করে তিনি নিজেকে তাড়াশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুবেল হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি বলেন, আমি এসআই রুবেল। তোমাদের কাছে মাদক আছে। হয় আমার সঙ্গে থানায় চলো, নাহলে টাকা দাও বলেই তিনি মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে নেন।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নাটোরের সিংড়া থেকে তাড়াশের দেশিগ্রাম ইউনিয়নের গুড়পিপুল গ্রামে বিয়ে খেতে আসা তিন কিশোর সন্ধ্যার কিছু পরে মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে ফিরছিল। এ সময় আঞ্চলিক সড়কের বেরখারি এলাকায় পৌঁছালে তাদের মোটরসাইকেল রোধ করেন রাহাত খান রুবেল। এ সময় রুবেল পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দিয়ে ছিনতাই করার চেষ্টা করেন। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহীরা তাদের কাছে টাকা নেই জানিয়ে বাড়িতে ফোন করে টাকা আনতে হবে বলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ও রাহাত খান রুবেলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। 

তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত থানা হেফাজতে আছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তাড়াশ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন খানের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। 

তাড়াশ উপজেলা যুবলীগের ১ নং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হোসেন আলী রুবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আমি একাধিক ব্যক্তির মুখে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে আমি নিজেও কথা বলার জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কেউই আমার ফোন ধরেননি।

শুভ কুমার ঘোষ/এসপি