জ্বালানি তেল ও ইউরিয়া সারের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে রংপুরে মানববন্ধন করেছে কৃষক সংগ্রাম পরিষদ। সমাবেশ থেকে দ্রুত তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করাসহ অসহনীয় লোডশেডিং বন্ধে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরের সামনে এ মানববন্ধন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

একই সঙ্গে ভুল নীতি ও দুর্নীতির জন‍্য দায়ীদের শাস্তি, নিত‍্যপ্রয়োজনীয় দ্রব‍্য ও সব কৃষি উপকরণের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে কৃষক সংগ্রাম পরিষদ।

এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ। সমাবেশে বক্তব্য দেন কৃষক নেতা আব্দুস সাত্তার প্রামাণিক, সানজিদা আক্তার, সুমন রায়।

সংহতি জানিয়ে তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান রাজনৈতিক সংগঠক সালাউদ্দিন আহমেদ বাবু, নুরে আজম দীপু, রেদোয়ান ফেরদৌস প্রমুখ।

পরিষদের নেতারা বলেন, জ্বালানি তেলের আকস্মিক ও অস্বাভাবিক এই মূল‍্যবৃদ্ধির ফলে গণপরিবহনের ভাড়া ও জীবনযাত্রার ব‍্যয় বাড়বে। চলতি আমন মৌসুমে ইউরিয়া সারের মূল‍্যবৃদ্ধির কারণে কৃষি উৎপাদন ব‍্যাহত হবে। সরকারের ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে চলমান লোডশেডিংয়ে এমনিতেই জনজীবন বিপর্যস্ত। তার মধ‍্যে সারের পর এবার জ্বালানি তেলের মূল‍্যবৃদ্ধি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে।

যেভাবে নিত্যপণ্য ও কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে চলেছে, এতে কৃষকসহ সাধারণ মানুষের জীবনধারণ দুষ্কর হয়ে গেছে। এ সময় সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

কৃষক আব্দুস সাত্তার প্রামাণিক বলেন, ফসল আবাদের জনতে হামারগুল্যাক থাকার কথা মাঠোত। কিন্তু দফায় দফায় সার-ত্যালসহ সোগ কিছুর দাম বাড়ার কারণে আজই হামরা মাঠ ছাড়ি রাস্তাত নামছি। সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের জনতে হামারগুল্যার কষ্ট বাড়ি যাওছে। ঘরোত টাকা থাউক আর না থাউক, দ্যাশের যে অবস্থা, তাতে আর আবাদ-সুবাদ করা যাবার নায়। সরকারের উচিত জনগণের ভালোর জনতে সিদ্ধান্ত নেওয়া। কিন্তু বাস্তবে সোগ কিছু উল্টাপাল্টা হওচে।

সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে তেল ও সারসহ নিত্যপণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন কৃষক সংগ্রাম পরিষদ। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষ সংহতি জানিয়ে অংশ নেন।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এনএ