কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে ঢেকে আনে প্রেমিক হাসান। কথা ছিল কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করার। কিন্তু বাড়ি ছাড়ার পর ঘটল ভিন্ন ঘটনা। প্রেমিকের বন্ধুদের দ্বারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হলো কিশোরী। শনিবার (৬ আগস্ট) রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারির বন্দরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাড়ি তেঁতুলিয়া উপজেলায়। তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় প্রতারক প্রেমিকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন— আটোয়ারির উপজেলার প্রেমিক হাসান (২৫), সবুজ (৩০), আমিনুল ইসলাম ডিপজল (২৫), অমর (৩০), নজরুল ইসলাম (৪০) ও আব্দুর রহমান। এদের মধ্যে ওই উপজেলার প্রেমিক হাসান মালগোবা গ্রামের মৃত আমিবার রহমানের ছেলে, সবুজ একই এলাকার ফতেহপুর গ্রামের খামির উদ্দিনের ছেলে, আমিনুল ইসলাম ওরফে ডিপজল আব্দুল রহমানের ছেলে, নজরুল ইসলাম খাজিম উদ্দিনের ছেলে, কৈলাসের ছেলে অমর একই এলাকার আব্দুর রহমান।

জানা যায়, হাসানের সঙ্গে মোবাইলে সম্পর্ক হয় কিশোরীর। বছর খানে আগে মামার বাড়িতে যাওয়ার সুবাধে ওই কিশোরীর সঙ্গে দেখা থেকে ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তারা। শনিবার সকাল ১০টায় ওই কিশোরী স্কুলে যাওয়ার সময় ফোনে কথা হয় প্রেমিক হাসানের সঙ্গে। কাজী অফিসে বিয়ে করার কথা বলে কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় পঞ্চগড়ে। পঞ্চগড়ে কাজী অফিসে যাওয়ার কথা থাকলেও কৌশলে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে তাকে নেওয়া হয় আটোয়ারীর উপজেলার বন্দরপাড়ার গ্রামের এক চা বাগানে। সেখানে নিয়ে প্রথমে হাসান তাকে ধর্ষণ করে। পরে তার বন্ধু সবুজ ধর্ষণ করে। পরে তারা পালিয়ে যায়। সেখানে বাকি তিন জন কিশোরীকে একা পেয়ে তারাও ধর্ষণ করে চলে যায়।

পরে গভীর রাতে ওই এলাকা থেকে এক পথচারী কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বাড়িতে নিয়ে যান। পরে পুরো ঘটনা খুলে বললে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। ভোরে জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় আটোয়ারী থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়।

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এ বিষয়ে রাতে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। এর মধ্যে দুই-একজনকে ধরাও হয়েছে। অভিযান শেষে থানায় মামলা দায়ের করা হবে এবং বিস্তারিত জানানো হবে।

এসকে দোয়েল/এসএসএইচ