সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে তিন নম্বর সর্তকতা সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঝড়ো হাওয়ার প্রভাবে উপকূলীয় নদীতে ২-৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। উপকূলীয় নদীর পানি বেড়েছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে উপকূলজুড়ে থাকা ৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ।

উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, রাত থেকেই হালকা থেকে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নদীতে জোয়ারের সময় বাতাসের তীব্রতা বাড়ছে। গাবুরা, নাপিতখালি, জেলেখালি, তিন নম্বর পোল্ডারসহ বিভিন্ন এলাকায় উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। ইতোমধ্যে নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে। জোয়ারের সময় বাঁধের কানায় কানায় পানি উঠছে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের বলেন, একের আওতায় ৩৮০ কিলোমিটার উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ৪২ কিলোমিটার। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ এলাকায় মেরামত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, দুইয়ের আওতায় সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চলে ৪০০ কিলোমটিার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ২০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে। সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও উপকূলীয় নদীতে ২-৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ১-২ দিন আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি থাকবে। তারপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

আকরামুল ইসলাম/এসপি