বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে চার-পাঁচ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে কূলে আঘাত হানছে। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে কক্সবাজার শহরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কক্সবাজার উপকূলকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। 

এমন বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই পর্যটকরা ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল সমুদ্রে গোসল করতে নামছেন। ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফগার্ড কর্মীরা নানাভাবে চেষ্টা করেও পর্যটকদের সমুদ্র থেকে তুলে আনতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, অসংখ্য পর্যটক সমুদ্রে দৌড়ঝাঁপ করছেন। কেউ কেউ টিউবে গা ভাসিয়ে চলে যাচ্ছেন গভীর সাগরের দিকে। সৈকতের সি-গাল, সুগন্ধা, কলাতলী পয়েন্টেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ নানা চেষ্টা করেও তাদের থামাতে পারছে না।

 ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ হামিদ বলেন, পর্যটকদের সামলানো কঠিন। কেউ কারও কথা শুনছেন না। সাগর যে উত্তাল সেটা কারো কানে যায় না। তবুও আমরা সতর্ক করছি। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকত ও পর্যটন স্পটগুলোতে সার্বক্ষণিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমুদ্রে গোসলে নামা প্রসঙ্গে খোরশেদ আলম নাকে এক পর্যটক বলেন, ভুল হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে নামা ঠিক হয়নি। 

তিনি বলেন, ঢাকা থেকে শুধু সমুদ্রে গোসল করার জন্য এসেছি, তাই একটু সাগরে নামলাম। এটা সম্পূর্ণ আমাদের দোষ। 

কুমিল্লা থেকে ভ্রমণে আসা হাবিব উল্লাহ বলেন, সাগরের জলে শরীর ভেজানোর জন্য এত দূর থেকে এসেছি। সৈকতে এসে দেখি বৃষ্টি, সমুদ্রও উত্তাল। সবাই নেমে গোসল করছেন দেখে আমিও নেমেছি।

লাবণী পয়েন্টে দায়িত্বরত লাইফগার্ড কর্মী আব্দুর শুক্কুর বলেন, অন্যান্য সময়ের চেয়ে এখন সাগর খুব উত্তাল রয়েছে। এ কারণে গোসলে নামা পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ পর্যটক মানছেন না। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় সমুদ্র এখন উত্তাল। তাই পর্যটকরা যেন সমুদ্রে নামতে না পারেন, সে জন্য সৈকতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাহারা বসানো হয়েছে। বালুচরে মাইকিং করে প্রচারণাও চলছে। তারপরও কিছু পর্যটক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উত্তাল সাগরে ঝাঁপ দিচ্ছেন। পর্যটক বলে তাদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করা যাচ্ছে না।

সাইদুল ফরহাদ/আরএআর