মানিকগঞ্জের ঘিওরে বাল্যবিবাহের দায়ে বর শহিদুল ইসলামকে (২৬) সাত মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে কনের বাবাকে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকাও আদায় করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে আটক বরকে কারাগারে পাঠিয়েছে ঘিওর থানা পুলিশ। গতকাল রোববার (১৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের শাইলকাই গ্রামে কনের বাবার বাড়িতে বাল্যবিবাহের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত যুবক উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের মৌহালি গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৬)।

পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার (১৪ আগষ্ট) রাতে উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের শাইলকাই গ্রামে বাল্যবিবাহের প্রস্তুতি চলছিল। স্থানীয়দের মাধ্যমে এমন খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ঘটনাস্থলে যান ঘিওর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হামিদুর রহমান। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই সটকে পড়েন বরের মা-বাবাসহ আত্মীয়স্বজন ও কাজী। এসময় বাল্যবিবাহের সত্যতা পাওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেন ইউএনও এবং বর শহিদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।

ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হামিদুর রহমান জানান, বাল্যবিবাহের প্রস্তুতি চলছে এমন খবর পেয়ে কনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়। এসময় বর শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে বর তার অপরাধ স্বীকার করে নেন। রাত ৯টার দিকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বর শহিদুল ইসলামকে সাত মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে কনের বাবার মুচলেকা আদায় করা হয়।

ঘিওর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান জানান, বাল্যবিবাহরে ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত বর শহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোহেল হোসেন/এমএএস