নেত্রকোণায় জাতীয় শোক দিবসের কাঙালি ভোজের আয়োজনে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে জেলার সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের বাঘরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি মেম্বার আবদুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান লালু, সহসভাপতি মো. জনি মিয়া এবং ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মাহমুদ মিলনকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া অন্য আহতরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব খান ও আপ্তাব উদ্দিন নামে দুজনকে তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছেন।

নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ওসি জানান, কাঙালি ভোজ আয়োজন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে মামলার জন্য বিকেল পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

ওসি আরও বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব খান ও আপ্তাব উদ্দিনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চাল্লিশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লাল চান মিয়ার নেতৃত্বে বাঘরা বাজারে মসুর আহমেদ সুপার মার্কেটের সামনে দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে এক গ্রুপ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব ভানের নেতৃত্বে অপর গ্রুপ বাঘরা ফাজিল মাদরাসার পাশে কাঙালি ভোজ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সকাল থেকেই উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে বেলা ১২টার দিকে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের শুরু হয়। এ সময় দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। 

জিয়াউর রহমান/এমএএস