কক্সবাজার-টেকনাফের প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। ফলে যানজটে আটকে পড়েছে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, দূরপাল্লার ভারী ও হালকা যানবাহনসহ স্থানীয় যাত্রীবাহী সব যানবাহন। 

বিক্ষোভ মিছিলের পর মূল সড়কেই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করায় সড়কের পূর্ব-পশ্চিম দিকে প্রায় ৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গলিপথও আটকে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, উখিয়া কোটবাজার প্রধান সড়কের ওপর দেশব্যাপী ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে উখিয়ায় আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করে। মূল সড়কের দুই পাশে সমাবেশ করায় বলে সড়কের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে স্কুলফেরত ছাত্র-ছাত্রী, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, সাধারণ মানুষ আটকে পড়েন। সড়কের মাঝখানে আয়োজন করা সমাবেশে হাজারো মানুষ জড়ো হয়।

যানজটে আটকে থাকা এনজিও সংস্থা MSF রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের চালক শহিদ বলেন, গাড়িতে ডেলিভারির রোগী রয়েছে। এদিকে সড়ক আটকে দিয়ে সমাবেশ করছে। দুই-একবার বলার পরও যেতে দিচ্ছে না। 

কক্সবাজার থেকে সিএনজিতে টেকনাফ ফিরছিলেন লিজা বেগম। তিনি বলেন, সকালে কোর্টে গিয়েছিলাম মামলার হাজিরা দিতে। সারাদিন রোদের মধ্যে দৌড়াদৌড়িতে ছিলাম। এখন ক্লান্তি নিয়ে ফেরার পথে উখিয়া কোটবাজার এসে প্রায় ৩০ মিনিট আটকে আছি। এখন প্রাণ যায় যায় অবস্থা। মানুষজনের কাছে শুনলাম উখিয়া আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে তাই সড়কে চলাচল বন্ধ।

টেকনাফ স্থল বন্দর থেকে ট্রাকে মাছ নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন কবির মুন্সি। তিনি বলেন, গাড়িতে পচনশীল জিনিসপত্র আছে। এক দিকে গরমের কারণে বরফ ক্ষয় হচ্ছে, অন্যদিকে সময়মতো পৌঁছাতে না পারলে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হব। এর মধ্যে ৪০ মিনিট ধরে আটকা। কখন ছাড়বে জানি না। এই দেশে আমাদের সময়ের কোনো মূল্য নেই।

সড়ক বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীকে মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

এ বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, কিছুক্ষণ আগে আওয়ামী লীগের সমাবেশের কারণে যানযট সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এই মুহূর্তে স্বাভাবিক রয়েছে। 

সাইদুল ফরহাদ/আরআই