মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করে বখাটেদের হামলার শিকার হয়েছেন রাজশাহী নগরীর এক বাবা। কিন্তু ঘটনার ছয় দিনেও মামলা করতে পারেননি ভুক্তভোগী নীল মাধব সাহা। প্রতিকার পেতে বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরের দিকে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

ভুক্তভোগী নীল মাধব সাহা নগরীর মেহেরচন্ডি এলাকার বাসিন্দা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন এলাকায় তার একটি পার্লার রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে নীল মাধব সাহা বলেন, রাজশাহী মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে কলেজে যাতায়াতের সময় উত্ত্যক্ত করে আসছে এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে এরফান খান মেরাজ, সামদের ছেলে রুহুল আমিন সরকার প্রিন্স, আক্তারের ছেলে রবিন।

গত ১২ আগস্ট সকালে এই কাণ্ডের প্রতিবাদ জানান তিনি। পরদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বখাটেরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে তার পার্লারে হামলা চালায়। এ সময় তাকে ছুরিকাঘাতসহ হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর যখম করে। হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মাথায় ১২টি সেলাই পড়ে।

ভুক্তভোগীর ভাষ্য, আইনি প্রতিকার পেতে তিনি নগরীর মতিহার থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু মতিহার থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে জানায়, এলাকাটি পড়েছে রেলওয়ে থানার অধীনে। তাই রেলওয়ে থানায় যান তিনি। কিন্তু সেখানেও মামলা নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি চন্দ্রিমা থানার বাসিন্দা বলে সেই থানায় যান মামলা করতে। কিন্তু সেখানেও তার মামলা নেয়নি পুলিশ।

তার অভিযোগ, অভিযুক্ত বখাটেরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। এই পরিচয় দেওয়ায় মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। 

মামলা না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, ভুক্তভোগী ব্যক্তি যে এলাকারই বাসিন্দা হোক না কেন, যে থানা এলাকায় ঘটনা সেই থানাতেই মামলা হবে।

এ ক্ষেত্রে রেলওয়ে স্টেশনে ঘটনা, এলাকাটি রেলওয়ে থানার। এ ব্যাপারে মতিহারেও মামলা হবে না, চন্দ্রিমাতেও হবে না। আমি তাদের রেলওয়ে থানায় যেতে পরামর্শ দিয়েছি। সেখানে কেন মামলা নেওয়া হয়নি সেটা জানি না।

তবে নগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, এই ধরনের অভিযোগ আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই