রাঙ্গাবালীতে অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে বরখাস্তকৃত সদর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. মনিরুল ইসলাম ৪ লাখ টাকাসহ জনতার হাতে ধরা পড়েছেন। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব (চার্জ) বুঝিয়ে না দিয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে দপ্তর থেকে চলে যাবার সময় স্থানীয় শতাধিক লোকজন ঘুষের টাকা ফেরতের দাবিতে তাকে আটকে রাখেন। 

পরে খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেক মুহিদ অফিস থেকে বের হয়ে আসেন এবং পরিস্থিতি অবনতি দেখে তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দেন। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপস্থিত লোকজনের সামনে তহশিলদার মো. মনিরুল ইসলামের ব্যাগ তল্লাশি করে ৪ লাখ টাকা ৪০০ টাকা জব্দ করেন। 

পরে পুলিশ ওই তহশিলদারকে থানায় নিয়ে যান এবং বুধবার রাতেই সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেক মুহিদ বাদি হয়ে তহশিলদার মো. মনিরুলের বিরুদ্ধে রাঙ্গাবালী থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আদালতের মাধ্যমে আটক তহশিলদার মনিরুলকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।

মামলার বাদী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেক মুহিদ বলেন, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও দায়িত্ব অবহেলার দায়ে জেলা প্রশাসক মহোদায় গত ১০ আগস্ট তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন। বুধবার নতুন তহশিলদারকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলে ও তিনি না বুঝিয়ে দিয়েই চলে যাচ্ছিলেন। পরে তার ব্যাগ তল্লাসি করে চার লাখ চারশ টাকা পাওয়া যায়। আদায়কৃত সরকারি রাজস্বের টাকা কোষাগারে জমা না দিয়ে ওই টাকা নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছিলেন তিনি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে ইতোমধ্যে ওই তহশিলদারকে জেলা প্রশাসক মহোদয় সাময়িক বরখাস্ত করেছেন এবং ঘুষের টাকা নেওয়ার বিষয়ে তদন্ত প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রাঙ্গাবালী থানা পুলিশের ওসি নূরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তহশিলদার মনিরুলকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অ্যাসিল্যান্ড নিজে বাদী হয়ে ওই তহশিলদারের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন। 

এমএএস