ফেনীর সোনাগাজীতে একটি পোল্ট্রি খামারের ৮০০ ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে। ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে প্রচণ্ড গরমে মুরগিগুলো মারা গেছে বলে দাবি করেছেন খামার মালিক নজরুল ইসলাম পলাশ। মারা যাওয়া প্রতিটি মুরগির ওজন দেড় থেকে দুই কেজি ছিল বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের মধ্যম সুজাপুর গ্রামের খুরশিদ আলম ভূঞার বাড়ির খামারে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানান, গত দুই দিন, বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রচণ্ড গরম পড়ে। পাশাপাশি ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে পুরো এলাকা। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুতের জন্য বার বার ফোন দিয়েও কোনো সাড়া পাননি খামার মালিক।

‘মুরগিগুলো চোখের সামনে একে একে মারা যায়’ মন্তব্য করে খামার মালিক নজরুল ইসলাম পলাশ বলেন, বর্ধিত মূল্যে পোল্ট্রি খাদ্য খাইয়ে মুরগিগুলো লালন-পালন করেছি। গরমে এভাবে মুরগিগুলো মারা যাওয়ায় খুব কষ্ট হচ্ছে। এত গরমের মধ্যে যদি এত লোডশেডিং হয় তাহলে কীভাবে চলে? গরম থেকে বাঁচানোর জন্য খামারের ভেতরে বড় ফ্যান ছিল, বিদ্যুৎ না থাকায় সেগুলো চালানো যায়নি। কেবল লোডশেডিংয়ের কারণেই আমার মুরগিগুলো মারা গেল।

এ ব্যাপারে সোনাগাজী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী সনৎ কুমার ঘোষ বলেন, গত দুই-তিনদিন জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ ফেল করেছিল। আমরা চাহিদার তুলনায় কেবল ৪৪ শতাংশ বিদ্যুৎ পেয়েছি। যার ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. সুফল নন্দী ঢাকা পোস্টকে বলেন, তীব্র গরমে শুধু মুরগি নয়, গরু-ছাগল, হাঁস, ভেড়াসহ অন্যান্য প্রাণীরও মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। এতে খামারিদের লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। খামারি যদি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকে তাহলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে বিষয়টি অবগত করলে আমরা সরকারি অনুদান পাওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করব। 

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মঞ্জুরুল হক মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে জানান, তিনি এ বিষয়ে অবগত নন। ছুটিতে থাকায় এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারছেন না। 

আরআই