সিলেট সদরের খাদিমনগর ইউনিয়নের বড়শালা এলাকায় ব্যবসায়ীদের হটিয়ে ১৮ একর বেদখল ভূমি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ আগস্ট) প্রায় ৩০০ ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করে এই ভূমির নিয়ন্ত্রণ নেয় কর্তৃপক্ষ।

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ভূমির মালিকানা প্রতিরক্ষা বিভাগের ছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় উক্ত ভূমি সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করে। যে কারণে আমরা সেটির দখল বুঝে নিয়েছি। সেখানে সীমানা প্রাচীর করে উন্নয়ন কাজ করা হবে। এছাড়া এর বাইরেও নতুন টার্মিনালের জন্য আরও ১৬০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। 

ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের বিষয়ে তিনি বলেন, ভূমিটি অবমুক্তির জন্য এর আগে এক ব্যবসায়ী মামলা করেছিলেন। সেটি খারিজ হয়েছে। ফলে তাদের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল দোকানপাটসহ স্থাপনা সরিয়ে নিতে। নির্ধারিত সময়ে তারা পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্থাপনাগুলো উচ্ছেদে যেতে হয়েছে।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়ে সংশ্লিষ্টরা উচ্ছেদে নামায় তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। অনেকের দোকান বাকি রয়েছে লাখ লাখ টাকা, সেগুলোও আর ফিরে পাবেন না।

বড়শালা নয়াবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ মুন্না বলেন, বাজারের কাঁচাবাজার অংশ উপজেলা প্রশাসন থেকে লিজে নেওয়া। লিজের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। বাজারের বাকি অংশ (১৪৮৭ নং দাগ) প্রতিরক্ষা বিভাগের। আমরা চট্টগ্রামে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে ইজারা নিয়ে ব্যবসা করতাম। এখন জানতে পারি প্রতিরক্ষা বিভাগ ভূমির মালিকানা সিভিল এভিয়েশনকে দিয়েছে। ফলে ওসমানী বিমানবন্দরের আওতায় নিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। হঠাৎ করে উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়ায় আমরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।

বড়শালা নয়াবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতিরক্ষা বিভাগের জায়গা ইজারা নিয়ে আমরা ব্যবসা করছিলাম। উচ্ছেদে সময় না দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা এখন সর্বস্বান্ত।

মাসুদ আহমদ রনি/আরএআর